ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস যাওয়ার পথে একই লাইনে থাকা খালি ইঞ্জিনকে পেছন থেকে থাক্কা দিয়েছে। এতে কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ট্রেনের বগির উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। অন্যদিকে বিকল্পপথে এই রুটের ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ফৌজদারহাট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্রেনের অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া ইঞ্জিনের চালক ও তাঁর সহকারীসহ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের চালক আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনা পরবর্তীতে আহত দুই চালক ও সহকারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পুলিশ।
দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশের পাশাপাশি রেলওয়ের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনের ইঞ্জিন ও লাইনচ্যুত হওয়া কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিটি সরিয়ে নিতে ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেন রেলওয়ের উদ্ধার কর্মীরা।
ট্রেনের একাধিক যাত্রী জানান, ইঞ্জিনের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষে বিকট শব্দের সৃষ্টি হয়। এতে পুরো ট্রেন কেঁপে ওঠে। এ সময় তাঁরা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সংঘর্ষ পরবর্তী ট্রেনটি থেমে গেলে তাঁরা সবাই হুড়োহুড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। এ সময় পুরো ট্রেন কেঁপে উঠার কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক ট্রেন যাত্রী।
এতে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে গেছে। ট্রেন চালকের পাশাপাশি আহত হয়েছে খালি ইঞ্জিনের চালক ও তাঁর সহকারী। এছাড়া ট্রেনের অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছে।
ফৌজদারহাট রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসাইন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণে চট্টগ্রামমুখী রেললাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন বিকল্প পথে ট্রেন চলাচল করছে। ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনের বগি ও ইঞ্জিনটি সরিয়ে নিতে কাজ করছেন রেলওয়ের উদ্ধার কর্মীরা।
এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত চালক ও চালকের সহকারীসহ আহত ট্রেন যাত্রীদের উদ্ধার করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।