হোমনা উপজেলার হোমনা-দুলালপুর-রামকৃষ্ণপুর সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। এরই মধ্যে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এই সড়কের দড়িচর বাজারসংলগ্ন রাস্তার মাঝামাঝি অংশের অনেকটুকুই ভেঙে গেছে, যার ফলে বর্তমানে এই সড়কে ট্রাকসহ অন্যান্য বড় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। যে অংশ ভাঙা বাকি, তার নিচের মাটিও সরে সুড়ঙ্গের মতো তৈরি হয়ে গেছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী, যানবাহন চালক ও যাত্রীরা।
এই সড়কে যাতায়াতকারী ঘাগুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম গণি বলেন, হোমনা-দুলালপুর-রামকৃষ্ণপুর সড়কটির অবস্থা এখন করুণ। বিভিন্ন স্থানে পিচঢালাই উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে সিএনজি অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহনগুলো এতে প্রায় ডুবে যায়। ঘটে দুর্ঘটনাও। এর পরও ঝুঁকি নিয়ে উপজেলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় ২৫-৩০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত এই সড়কে যাতায়াত করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আমার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের দড়িচর বাজারের পূর্ব পাশের সড়কটির মাঝামাঝি অংশে প্রায় বেশির ভাগই ভেঙে গেছে। এক পাশ দিয়ে কোনো রকম সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাওয়া-আসা করতে পারে। ট্রাকসহ বড় গাড়ি চলাচল করতে পারে না। বৃষ্টি হলে যেকোনো মুহূর্তে পুরো সড়কটিই ভেঙে যাবে। এমনকি সড়কের নিচে মাটি না থাকায় বৃষ্টি না হলেও ভেঙে যেতে পারে। এ অবস্থার কথা প্রশাসনকে জানিয়েছি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দড়িচর বাজারের ভাঙা অংশটুকুর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত সমাধান করা হবে। এ ছাড়া সড়কটির হোমনা চৌরাস্তা থেকে রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ পর্যন্ত আরসিসি ঢালাই হবে, এটা প্রসেসিংয়ে আছে। আশা করি দ্রুত কাজ শুরু করতে পারব। আর দুলালপুর থেকে রামকৃষ্ণপুর পর্যন্ত মেরামতের জন্য আমরা এস্টিমেট দিচ্ছি। তবে রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ থেকে দুলালপুর হয়ে ঘাগুটিয়া পর্যন্ত মেরামত করতে একটু সময় লাগবে।’