টেকনাফ (কক্সবাজার): দালালের মাধ্যমে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরের আশ্রয়শিবির থেকে পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির থেকে গ্রেপ্তার করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
আটক হওয়া ওই রোহিঙ্গা যুবকের নাম মোহাম্মদ ইউসুফ (২০)। তিনি উখিয়া উপজেলার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের শাহ আলমের ছেলে। মোহাম্মদ ইউসুফের সঙ্গে ভাসানচর থেকে আরও দুই রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছেন বলে জানা গেছে। তবে তাঁদের এখনো আটক করা যায়নি।
এপিবিএনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একদল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে তাঁকে আটক করে। আটকের পর ইউসুফ জানান, গত ৩১ মার্চ উখিয়া রোহিঙ্গা শিবির থেকে তাঁর স্ত্রী ছবুরা খাতুনসহ (১৯) ভাসানচরে যান। সেখানে কিছুদিন থাকার পর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আবারও উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত আসার জন্য চেষ্টা চালাতে থাকেন ইউসুফ। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ইউসুফ আরও দুই রোহিঙ্গাসহ কামাল (৩৫) নামের এক দালালের মাধ্যমে ভাসানচর ত্যাগ করেন। তাঁরা ১৮ হাজার টাকা দিয়ে ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে আধা ঘণ্টার মধ্যে দেড়টায় সন্দ্বীপে পৌঁছান। পরদিন অর্থাৎ বুধবার সকাল ১০টায় সন্দীপ হয়ে বোটযোগে জনপ্রতি ২৫০ টাকা ভাড়ায় দুপুর ১২টার দিকে ইউসুফসহ আরও দুই রোহিঙ্গা চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড ঘাটে পৌঁছান। সেখান থেকে তাঁরা রাতে উখিয়া শিবিরে পৌঁছান।
এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল ইসলাম বলেন, ইউসুফকে আটকের পর তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ইউসুফের সঙ্গে ভাসানচর থেকে পালিয়ে আশা বাকি দুজনকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।