চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার বাহারছাড়া এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে।
জামায়াত কর্মীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম বাঁশখালী দারুল ইসলাহ দাখিল মাদ্রাসা মসজিদে ছাত্রশিবিরের একটি বৈঠকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হামলা চালালে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপির দাবি, ছাত্রশিবিরের ওই বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করায় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা এর প্রতিবাদ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে দুই পক্ষের মারামারিতে চারজন আহত হন। পরে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য স্থানীয় মোশাররফ আলী হাটে বৈঠকে বসেন। সেখানে মীমাংসা না হয়ে আবারও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। খবর পেয়ে বাঁশখালী থানার (ওসি) সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক নয়ন মণি, ছাত্রদল কর্মী মো. তায়েব, এনামুল হক ও তানভীর হাসান, শিবিরের বাঁশখালী উত্তর শাখার সেক্রেটারি আজগর হোসাইন ও জামায়াত কর্মী মো. রাকিব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাঁশখালী থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আরিফুল্লাহ বলেন, ‘মাদ্রাসা ছুটির পর বিকেলে পাশের মসজিদে পবিত্র কোরআনের ক্লাসের আয়োজন করেছিল শিবির। সেখানে ছাত্রদল হামলা করে রাকিব নামের আমাদের এক কর্মীকে আহত করে। রাতে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য গেলে সেখানেও আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর আবারও হামলা চালায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা।’
জানতে চাইলে বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লোকমান আহমদ বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, শিবিরের বৈঠকে বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করাকে ঘিরে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। জামায়াত-শিবিরের হামলায় আমাদের চার থেকে পাঁচজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হাওলাদার জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাটি এখন পর্যন্ত পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।