অনুমতি ছিল দিনে ৮০০ টিকার দেওয়ার। অথচ শুরু থেকেই প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার টিকা দিয়ে আসছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সক্ষমতার তুলনায় যা চার–পাঁচগুণ বেশি। এই অতিরিক্ত চাপের পরও থামানো যায়নি টিকা নিতে আগ্রহীদের মিছিল। নিবন্ধনের সংখ্যায় ছুঁয়েছে নতুন নতুন রেকর্ড।
এসব কারণে সার্ভারে তৈরি হয়েছে জটিলতা, বেড়েছে টিকা গ্রহীতাদেরও দুর্ভোগ। তাই বাধ্য হয়ে গত মঙ্গলবার রাত থেকে টিকার নিবন্ধন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে চমেক হাসপাতাল। চাপের কারণে নিবন্ধন বন্ধ না করলেও আপাতত নতুন করে কাউকে এসএমএস দিচ্ছে না নগরীর অন্যতম টিকাদান কেন্দ্র জেনারেল হাসপাতালও।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ভ্যাকসিন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা টিকার নিবন্ধনে এমন জটিলতার কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছিলাম। তারা মঙ্গলবার রাত থেকে সুরক্ষা অ্যাপে চট্টগ্রামের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টিকা নিবন্ধন স্থগিত রেখেছে।
এদিকে টিকার নিবন্ধনের পরও বুধবার পর্যন্ত প্রায় ৮২ হাজার টিকা গ্রহীতাকে কোনো এসএমএস দেওয়া যায়নি বলে জানান চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তানজিম আহমেদ। যদিও এখানে নিবন্ধন বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, এখানে বুধবার প্রথম ডোজের জন্য অপেক্ষায় আছেন ৮১ হাজার ৪৬৬ জন। তাদের এসএমএস পাঠাতে পারিনি আমরা। এখানে অনেক চাপ। হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। এ কারণে গত ২ আগস্ট থেকে নতুন করে কাউকে এসএমএস পাঠাতে পারিনি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ ছাড়া সেটি সম্ভবও নয়। আগামী ৩ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের মডার্না টিকা পাবেন ২৯ হাজার মানুষ।
জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ১২ টি বুথ থেকে চার থেকে সাড়ে চার হাজার মানুষকে এখন টিকা দেওয়া হচ্ছে। এখানে নিবন্ধনকারী ২ লাখ ১৪ হাজার। যার মধ্যে টিকা পেয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার জন।