লক্ষ্মীপুরে পুকুর থেকে মাটি উত্তোলনের জেরে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে জোছনা আক্তার নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা ও তাঁর স্বামীকে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ভোররাতে ভবানীগঞ্জের মেঘনা বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জোছনা আক্তারের স্বামীর নাম আলাউদ্দিন। তিনি চরভূতার মেঘনা বাজার এলাকার নুরুল হকের বাড়ির মৃত শাহে আলমের ছেলে। আলাউদ্দিন পেশায় একজন সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী। অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা হলেন পার্শ্ববর্তী বকুলের বাপের বাড়ি এলাকার সিরাজ উদ্দিন, মাহফুজুর রহমান ও নিজাম উদ্দিন। তাঁরা সম্পর্কে আলাউদ্দিনের খালাতো ভাই।
জোছনা আক্তার নিহত হওয়ার বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা পলাতক আছেন। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিহতের স্বজনেরা ও স্থানীয় লোকজন জানান, রমজান মাসে আলাউদ্দিনের বসতঘরের পাশে একটি পুকুরে ড্রেজিং মেশিনের মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করেন সিরাজ উদ্দিন। এরপর ওই পুকুরে আবারও পানি নিষ্কাশনের জন্য সেচপাম্প বসান সিরাজ। এতে বাড়িঘর-পুকুরের পাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় বাধা দিলে আলাউদ্দিনের সঙ্গে সিরাজের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন সিরাজ।
স্থানীয় লোকজন জানান, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন সিরাজের ভাই নিজাম উদ্দিন। মাটি উত্তোলন নিয়ে বিরোধের জেরে আজ ভোররাতের দিকে আলাউদ্দিনের বসতঘরে হামলা চালান সিরাজ এবং তাঁর ভাই মাহফুজ ও নিজামসহ ১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। এ সময় আলাউদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী জোছনাকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়।
স্থানীয়রা আলাউদ্দিন ও জোছনাকে উদ্ধার করে জেলার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা জোছনাকে মৃত ঘোষণা করেন। আলাউদ্দিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার এ কে আজাদ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই জোছনার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর স্বামী আলাউদ্দিনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।