কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বেড়ি বাঁধে তীব্র আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলবাসী। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উঠান মাঝির ঘাট ও বাইগ্যের ঘাটের বেড়িবাঁধ ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের যে স্থান ভেঙে গেছে, এর দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে বালু বেরিয়ে গেছে। ওই বালু ঢেউ লেগে ধুয়ে যাচ্ছে। উপকূলীয় একটি মসজিদের চারপাশে পানি উঠেছে। বিলীন হয়ে গেছে পাশের একটি কবরস্থানও।
স্থানীয়রা জানান, এই মুহূর্তে জিও টিউব ও জিও ব্যাগের মাধ্যমে আপত্কালীন ব্যবস্থা যদি না নেওয়া হয় তাহলে এটা দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতিসহ বেড়িবাঁধ ভাঙনের ফলে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ নিয়ে এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়াও বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ এলাকাও পানিতে ভাসছে ঘরবাড়ি ও মাছের খামার। জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের রব্বাত মিয়াজির বাড়ি থেকে হাজী বাজারসহ ৩ কিলোমিটার বাঁধ ও ফসলি জমি তীব্র ভাঙনের মুখে রয়েছে। এসব এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে কিছুদিন আগে জিও ব্যাগ দিলেও সাগরের ঢেউয়ে তা তলিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. শওকত আকবর ও মো. আবদুল আলিম বলেন, ‘বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলেও আমাদের বাড়িঘরের পাশে এখনো পাথর বসানো হয়নি। উপকূলের ঘাটের দুই পাশে পাথর বসানো হলেও মাঝখানে পাথর না দেওয়ায় বারবার ভাঙনের কবলে পড়ে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এবার বাড়িঘর ছেড়ে যেতে হবে। দুই-তিন দিনের জোয়ারের পানিতে কবরস্থান বিলীন হয়ে গেছে। এখন মসজিদেও পানি উঠানামা করছে, নামাজও পড়তে পারছেন না মুসল্লিরা।’
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শহীদ জানান, ‘রায়পুর ইউনিয়নের ৫ হাজার ১৭৫ মিটার বেড়িবাঁধে ব্লক বসানোর জন্য নতুন করে ৩৯৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’