ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে রুমানা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে বিষপান করিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাত ৮টায় উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের কাচারি পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুমানা আক্তার নাসিরনগর ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের সুরুজ মিয়ার মেয়ে।
রুমানার পরিবার জানায়, তিন বছর পূর্বে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বুড়িশ্বর গ্রামের আব্দুর রহমানের প্রতিবন্ধী ছেলে গেদু মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রুমানা আক্তারের। নিহতের স্বামী শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিয়ের পর থেকে তাঁর ছোট বোন শাহানা বেগমসহ পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে রুমানাকে নির্যাতন করে আসছিল। ৭ মাস আগে রুমানাকে নির্যাতন করার কারণে বাবার বাড়িতে চলে আসেন তিনি। পরে স্থানীয়রা সালিসের মাধ্যমে তাঁকে স্বামীর বাড়িতে দিয়ে আসেন।
রুমানার পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনার রেশ ধরেই শনিবার রাতে রুমানার স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যার করেছে।
নিহতের বাবা সুরুজ মিয়া বলেন, ‘শনিবার রাতে আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে বলে, বাবা আমারে স্বামীর বাড়ির লোকজন মেরে ফেলতেছে। কিছুক্ষণ পর আমার লাশটা বাড়িতে নিয়ে যাইও। আমার ছেলেডাকে তোমরা লালন পালন কইর। মৃত্যুর আগে তাঁর সঙ্গে এটাই আমার শেষ কথা।’
নিহতের ভাই জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার বোনকে তাঁরা হত্যা করে মুখে ইঁদুর মারার বিষ ঢেলে দেয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।’ এ ঘটনার পর নিহতের স্বামীর বাড়িতে গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।’