চাঁদপুরের কচুয়ায় পরকীয়ার জেরে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাতে বিতারা ইউনিয়নের উত্তর বিতারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম নুরুল হক (৪৫)। তিনি বিতারা গ্রামের খলিফাবাড়ির মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন একই গ্রামের জালাল উদ্দিন, আমান উল্লাহ্ ও রফিকুল ইসলাম।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় শুকুর আলী প্রবাসে থাকার সুযোগে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নুরুল। শুকুর পরে দেশে এসে বিষয়টি জানতে পেরে স্ত্রীকে তালাক দেন। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে নুরুলের বিরোধ চলছিল।
নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম জানান, শনিবার রাতে শুকুর, জালাল ও জাহাঙ্গীর আলম মিলে নুরুলকে বাড়ি থেকে ডেকে জাহাঙ্গীর খলিফার নতুন বাড়িতে নিয়ে যান। পরে তাঁর ফিরতে দেরি দেখে জাহানারা খোঁজ নিয়ে জাহাঙ্গীর খলিফার বাড়িতে গিয়ে দেখেন তাঁর স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। জাহানারা তাঁর স্বামীর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
নিহতের ভাই আল-আমিন ও মহসিন অভিযোগ করেন, নুরুলকে শুকুর, জাহাঙ্গীর আলম, জালালসহ একদল সন্ত্রাসী কুপিয়ে হত্যা করেছে।
যোগাযোগ করা হলে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়। পরে জাহানারার করা মামলায় জালালকে আসামি করে বাকি দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওসি আজিজুল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়ার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মূল আসামি শুক্কুর আলীসহ আরও যাঁরা জড়িত, তাঁদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’