চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় ৯১ ইটভাটার মধ্যে ৪১ ভাটাই অবৈধ। আর এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। একই দিন ফরিদগঞ্জ উপজেলার তিনটি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে অভিযানের অংশ হিসেবে ফরিদগঞ্জ উপজেলার মেসার্স টুগবি ব্রিক ফিল্ড, ভঙ্গেরগাঁও ব্রিক ফিল্ড এবং মানিকরাজ ব্রিক ফিল্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় এসব ব্রিক ফিল্ড বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ফায়ার সার্ভিস পানি দিয়ে ভাটার চলমান আগুন বন্ধ করে দেয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে থাকা চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক জেলার অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসক বলেছেন।
এরপরও যারা বন্ধ করছে না, তাদের ইটভাটাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং এই কাজ অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী আরেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিপঙ্কর বড়াই বলেন, জেলায় ৯১ ইটভাটার মধ্যে অধিকাংশ ভাটাই অবৈধ। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক যাঁরা ভাটা বন্ধ করবেন না, তাঁদেরগুলো বন্ধে ব্যবস্থা করা হবে। তারই অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় অভিযান শুরু হয়েছে। এটি চলমান থাকবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী কাজ শুরু করেছি। ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসক ইটভাটার মালিকদের নিয়ে তাঁর কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। ওই সময় তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন অবৈধ ও লাইসেন্স ছাড়া যেসব ভাটা রয়েছে, সেগুলো বন্ধ রাখার জন্য। একই সঙ্গে নির্দেশনা ছিল যেসব ইটভাটা বন্ধ করবে না, সেগুলো পর্যায়ক্রমে আমরা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আজকে যেসব ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছি, এসব ভাটার মালিককে একাধিকবার জরিমানা করা হয়েছে এবং বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে।’
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হান্নানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন।