হোম > সারা দেশ > বগুড়া

ছোটদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, বড়রা নাগালের বাইরে

আরিফুর রহমান মিঠু, শাজাহানপুর (বগুড়া) 

শাজাহানপুরের কচুয়াদহ রঙিলাঘাট এলাকায় সম্প্রতি এক্সকাভেটর নিয়ে আসা হয় মাটি কাটার জন্য। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় অবৈধ মাটি ব্যবসার বিরুদ্ধে তৎপর রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে ছোট ছোট অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এতে অনেক স্থানেই কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অবৈধভাবে মাটি কাটার বড় পয়েন্টগুলোর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। তাই সেসব জায়গার মাটিব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য থামছেই না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মাটি ব্যবসায় জড়িত এবং জমির মালিকের নামে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে মোট ৯টি। ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তারা বাদী হয়ে থানায় মামলাগুলো করেছেন। পৃথক মামলাগুলোয় এজাহারভুক্ত আসামি রয়েছেন ১৭ এবং অজ্ঞাতনামা ২৩ জন। এদিকে উপজেলার সবচেয়ে বড় ৫টি মাটি কাটার পয়েন্ট আশেকপুর এবং মাদলা ইউনিয়নে। তবে উল্লেখযোগ্য এ পয়েন্টগুলোর কোনোটির বিরুদ্ধেই এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। এর বাইরে খড়না ইউনিয়নের নাদুরপুকুর এবং গোহাইল ইউনিয়নের খাদাশ গ্রামে মাটি কাটার পয়েন্ট থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রশাসন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জোড়া ফকিরপাড়া গ্রামে মাটি কাটা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা তাঁতি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জোব্বার সোহেল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জমির মালিকের কাছ থেকে আমার নামে মাটি লিখিত করে নিয়ে ২ মাস ধরে কাটছি। কয়েকদিন হলো কাটা বন্ধ রেখেছি।’ একই জায়গায় মাটি কাটায় আশেকপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও আশেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সাকিদার সংশ্লিষ্ট বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, ‘আমার নাম করে কেউ কেউ মাটি কাটছে, এমনটি শুনেছি। এটা সঠিক নয়। সব মাটি কাটার পয়েন্ট বন্ধ করতে হবে।’

আশেকপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘আশেকপুর ইউনিয়নের জোড়া ফকিরপাড়া, চকজোড়া এবং পারতেখুর গ্রামে মাটি কাটার পয়েন্ট ছিল। দুই মাস আগে আমরা সব পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছি।’

এদিকে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে গ্রামবাসী বলছেন, ‘এই ইউনিয়নের সব রকম মাটি কাটার কার্যক্রম চালু আছে। রাত ১০টার পর থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।

জানা গেছে, মাদলা ইউনিয়নের বলদীপালান গ্রামে ফসলি মাঠের ভেতরে মাটি কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মেহেদী হাসান রানা নামের একজন। এদিকে মালিপাড়া এলাকায় জয়নালের ইটভাটা-সংলঘ্ন একটি পয়েন্টে অবৈধভাবে মাটি কাটার কার্যক্রম চলছে। যে পয়েন্টগুলোতে এখনো মামলা হয়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে মেহেদী হাসান রানার মোবাইল ফোনে অনেকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

মাদলা ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমার কোনো মাটির পয়েন্ট নেই। জয়নালের ভাটার ওখানে একটি পুকুর সংস্কার হয়েছে।’

শাজাহানপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম বলেন, অনুমতি না নিয়ে মাটি কাটার মামলায় আসামি সহজেই জামিন পায়। মাটি কাটার সংবাদ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল নাইম বলেন, ‘অনুমতি না নিয়ে মাটি কাটার ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। আশেকপুর ইউনিয়নের মাটি কাটার পয়েন্টগুলোর সংবাদ পাইনি, শুনেছি সেগুলো বন্ধ রয়েছে।’

বাজারের নামে ফুটপাত ভাড়া বিএনপি নেতার

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল থেকে খোয়া গেছে ১০টি গুলি

মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

আদালত থেকে পালানো আসামি গ্রেপ্তার, ৭ পুলিশ প্রত্যাহার

বগুড়ায় স্থানীয়দের সঙ্গে বেদেদের সংঘর্ষে সাপুড়ে নিহত, আহত অন্তত ১০

বগুড়ায় ২৬ টন পলিথিন জব্দ, তিনজনের জেল-জরিমানা

বগুড়ায় বাড়িভাড়া চাওয়ায় হুমকি, দুই কারারক্ষী বদলি

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

ধর্ষণ মামলায় পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২৩ বছর পর গ্রেপ্তার

আটকের পর পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে পালাল মাদক কারবারি