বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পুলিশের জব্দ করা বিবাদমান জমি থেকে কাটা গাছের গুঁড়ি উধাও হওয়ার ঘটরা ঘটেছে। ধুনট পৌর এলাকার চরধুনট গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
চরধুনট গ্রামের সফের আলী বিষয়টি টের পেয়ে আজ শনিবার সকালের দিকে থানা-পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, চরধুনট গ্রামের সমশের আলীর ছেলে সফের আলী সঙ্গে একই গ্রামের মজিদ প্রামাণিকের ছেলে শাহ জামালের সঙ্গে প্রায় তিন শতক জমি নিয়ে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই জমি সফের আলী ভোগ দখল করে আসছিলেন।
প্রায় ১৮ বছর আগে ওই জমিতে সফের আলী ইউক্যালিপটাস ও বিভিন্ন প্রজাতির ১৫টি কাঠের গাছ লাগান। বর্তমানে গাছগুলো বেশ মূল্যবান হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় গত ৮ জুলাই সকালের দিকে শাহ জামাল ও তাঁর লোকজন বিবাদমান জমি থেকে প্রায় ১২টি গাছ কাটেন। এই ঘটনায় একই দিনই সফের আলী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাটা গাছের গুঁড়িগুলো জব্দ করে উভয় পক্ষের হেফাজতে বিবাদমান জমির ওপর রেখে দেয়। গত বৃহস্পতিবার সফের আলী বিষয়টি নিয়ে বগুড়া আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত বিবাদমান জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। এমতাবস্থায় শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় জব্দ করা গাছের গুঁড়িগুলো সেখান থেকে চুরি হয়েছে।
এ বিষয়ে সফের আলীর অভিযোগ, ‘রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন জব্দ করা গাছের গুঁড়িগুলো বিবাদমান জায়গা থেকে নিয়ে গেছে। আমি টের পেলেও তখন ভয়ে কিছু বলি নাই। শনিবার সকালের দিকে থানা-পুলিশকে সংবাদ দিয়েছি।’
শাহ জামাল জানান, ওই জমি থেকে তিনি গাছগুলো কেটেছিলেন। পরে পুলিশ এসে সেগুলো জব্দ করে বিবাদমান জমির ওপর রেখে যায়। গাছগুলো চুরির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে বিবাদমান জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। জব্দ করা গাছের গুঁড়ি চুরির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।