রাজধানীতে ভূমিকম্পে নিহত রাফিউল ইসলাম রাফিকে (২২) বগুড়ার নামাজগড় আঞ্জুমান ই গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে। আজ শনিবার বাদ জোহর বগুড়া শহরের সূত্রাপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
এর আগে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে রাফিউলের প্রথম জানাজা শেষে লাশ বগুড়ায় আনা হয়।
রাফি বগুড়া শহরের খান্দার এলাকার ওসমান গণির ছেলে। তিনি ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ৫২তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পে রাজধানীর বংশালে ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিহত হন তিনি। এ সময় রাফির সঙ্গে থাকা তাঁর মা আহত হন।
রাফির বাবা ওসমান গণি বলেন, রাফির মা এখনো হাসপাতালে। তাঁকে ঢাকা থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, জানাজা শেষে ছেলের মৃত্যুর খবর তাঁর মাকে জানানো হয়েছে। যদিও চিকিৎসক বলেছেন ৭২ ঘণ্টা তাঁকে কোনো মানসিক চাপ দেওয়া যাবে না। কিন্তু দাফনের আগে ছেলেকে শেষবারের মতো দেখানো ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে এই কঠিন কাজটি করতে হয়েছে।
রাফি স্কুলজীবন কাটিয়েছে বগুড়া ওয়াইএমসিএ স্কুল এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এরপর বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। দুই ভাইবোনের মধ্যে রাফি ছিলেন ছোট। রাফির বাবা সরকারি কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ।