বগুড়া ডায়াবেটিক ও স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালের আহ্বায়ক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন মুকুলের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিএনপির নেতারা। একই সঙ্গে নামফলকও অপসারণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন নবী সালাম ও কে এম খায়রুল বাশার ডায়াবেটিক হাসপাতালে গিয়ে মুকুলের কক্ষে তালা দেন এবং নামফলক খুলে ফেলেন।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন মুকুল দীর্ঘদিন বগুড়া ডায়াবেটিক ও স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালের সভাপতি ছিলেন। গত ১৭ আগস্ট আগের কমিটি ভেঙে দিয়ে তাঁকে আহ্বায়ক করে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী নেতাদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। এরপর জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মুকুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হওয়ায় তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
কমিটি সূত্রে জানা যায়, ১২ মে স্থানীয় পত্রিকায় ডায়াবেটিক হাসপাতালের তিনটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আত্মগোপনে থাকা আহ্বায়কের কাছে আবেদন পাঠাতে বলা হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি নেতারা এ পদক্ষেপ নেন।
বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন নবী সালাম বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিদায়ের পরও ডায়াবেটিক হাসপাতাল ফ্যাসিস্টদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতা মুকুল হত্যা মামলার পলাতক আসামি হয়েও হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং নতুন নিয়োগ-বাণিজ্যের পরিকল্পনা করছেন। এ জন্য শান্তিপূর্ণভাবে তাঁর কক্ষে তালা দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালের নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কমিটির বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা শুধু কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করি।’