বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় সিরাত ব্রিকস নামের একটি ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে প্রায় ৮০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে কৃষকেরা মাঠে গিয়ে এই দৃশ্য দেখতে পান। এতে তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ এবং হতাশা দেখা দেয়। তবে ইটভাটার ম্যানেজার খলিলুর রহমানের দাবি, গ্যাসে নয়, ধোঁয়ার কারণে ফসল নষ্ট হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ২ বিঘা জমির পাকা ধান পুরোটাই শেষ হয়ে গেছে। আজ রোববার সকালে জমিতে এসেও দেখেছি ধান ভালো আছে। কিন্তু বিকেলে এসে দেখি পুরো জমির ধান পুড়ে গেছে। আমার এই আবাদের ওপরে পুরো পরিবার নির্ভর করে। কোথায় আবেদন করলে সঠিক বিচার পাব, তা জানি না। তবে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
আরেক কৃষক শাহ আলম বলেন, ‘আমি ৪ বিঘা ধান করেছিলাম। সমস্ত ধান ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে শেষ হয়ে গেছে। বুক ফেটে আমার কান্না আসছে।’
কৃষক জনাব আলী বলেন, ‘ভাটা থেকে কখন যে গ্যাস ছেড়েছে, তা আমি জানি না। আমার সাড়ে ৪ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে। এখন ফকিরের মতো রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি, ভাটার মালিক যদি ক্ষতিপূরণ দেয়। গ্যাসে ধানের সঙ্গে পতিত জমির ঘাস পর্যন্ত পুড়ে গেছে। কৃষকের আবাদের সঙ্গে এমন অন্যায় মেনে নিতে পারছি না।’
সিরাত ব্রিকসের ম্যানেজার খলিলুর রহমান বলেন, ‘ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে এমনটা হয়নি। ইটভাটার ধোঁয়ায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ইটভাটা থাকলে এমনটা হতেই পারে।’
শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’