বগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় নসিমনের চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় নসিমন ও বাসের যাত্রীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় পরে গুরুতর ৫ জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।
নিহতদের মধ্যে নসিমনচালক ও একজন যাত্রীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আরেকজন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহতেরা হলেন—নসিমনের চালক আল আমিন (৩২), যাত্রী নাজমুল (২৪) ও গোপাল সরকার (৩২)। গোপাল সরকার শেরপুর শহরের কর্মকারপাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিক অন্যদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘোগা বটতলা নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা নাদির হোসেন।
স্থানীয়রা বলছে, রংপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের ঘোগা বটতলা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ভটভটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভটভটির যাত্রী, প্রাণ কোম্পানির বিপণন ব্যবস্থাপক গোপাল সরকার ও চালক আল আমিন নিহত হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে আহতদের অবস্থার অবনতি বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ভটভটির যাত্রী নাজমুল (২৪) মারা যান।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন সরকার জানান, ‘ধাক্কা দেওয়া শ্যামলী বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক ও সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক সম্ভব হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’