সাগরে চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। এ ভরা মৌসুমেও জেলেদের জালে দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশের। এ সময় অন্য সকল জেলেরা খালি হাতে ফিরে আসলেও বঙ্গোপসাগর থেকে ৭৫ মণ ইলিশ শিকার করে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ফিরেছে একটি ট্রলার। সে ইলিশগুলো ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ট্রলারে এফবি সাফওয়ান নামের ট্রলারটি ঘাটে ফিরেছে। ট্রলারটির মালিক পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির।
ট্রলার মালিক মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে বাজার সওদা করে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরে পাঠিয়েছি। সোমবার গভীর রাতে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরেছে। মাছগুলো বিক্রি করার জন্য মঙ্গলবার সকালে ট্রাকে করে বাগেরহাট পাঠিয়েছিলাম। সেখানে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।’
গোলাম কবির বলেন, ‘বর্তমান সময়ে ইলিশের ভরা মৌসুমেও যখন জেলেদের জালে মিলছে না, তখন আমার ট্রলারে এত ইলিশ কীভাবে পেয়েছি, অনেকেই এমন প্রশ্ন করেছেন—আসলে আমার ট্রলার অন্য ট্রলারের চেয়ে আধুনিক উন্নত মানের। আমার ট্রলারগুলো এমনভাবে তৈরি যে গভীর সমুদ্রে জেলেরা বিচরণ করতে পারে এবং আধুনিক ইঞ্জিনের সংযোজন করা আছে। সে কারণে জেলেরা সমুদ্রের যে কোনো জায়গায় বিচরণ করে জাল ফেলতে পারে। এ কারণেই আমি অন্যদের চেয়ে বেশি ইলিশ শিকার করতে পারি।’
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘জেলেরা মাছ না পাওয়ায় হতাশ হয়েই ফিরে আসছে ঘাটে। খুব সমস্যার মধ্যেই তাদের দিন কাটছে, এরই মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের ট্রলারের জেলেরা ৭৫ মণ ইলিশ পেয়েছে, এটাতো আমাদের জন্য খুশির খবর। মনে হয় ধীরে ধীরে মাছ ধরা পরতে শুরু করবে জেলেদের জালে। সব জেলেরা এ পরিমাণ মাছ পেলে ট্রলার মালিকেরা পেছনের ধার দেনা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছি।’
পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে এখন প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে এবং ওই ইলিশের সাইজেও এখন বড়। তবে উপকূলের কাছাকাছি এখনো অনেক কম মাছ পাওয়া যাচ্ছে। ধারণা করছি সামনের সময় জেলেদের জলে আরও ইলিশ ধরা পরবে।’