আগামী ৪ অক্টোবর থেকে মোট ২২ দিন নদ-নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাই শেষ সময়ে নেছারাবাদে ইলিশের বাজার জমজমাট হয়ে উঠছে। মাছের দাম অনেকটা নাগালের বাইরে থাকায় মাছ কিনছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে মাছ কেনার প্রতিযোগিতায় আছেন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তরা। তাঁরা সাধ্য অনুযায়ী ইলিশ কিনে বাড়িতে ফ্রিজজাত করছেন। মা ইলিশ সংরক্ষণে আগামী ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাজারে ইলিশ কেনার মেলা চলছে।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) দক্ষিণ জগন্নাথকাঠি বাজারের ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী সেন্টু মিয়া (৪২) বলেন, বাজারে ইলিশের খুব চাহিদা, জোগান খুবই কম। এখানে ১ কেজি ১০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রামের ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকায়। আর ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের মাছ ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেন্টু মিয়া আরও বলেন, বাজারে আসা এক কেজির ওপরের ইলিশের পেটভর্তি ডিম রয়েছে।
আকলম গ্রামের ইলিশ মাছ ক্রেতা মো. এনায়েত হোসেন বলেন, `বাড়িতে মেহমান আসবে, তাই গতকাল সোমবার বাজারে এসে মাঝারি সাইজের তিনটি ইলিশ কিনেছি। ইলিশের দাম অনেকটা বেশি। সামনে অবরোধ উপলক্ষে অনেকেই ইলিশ কিনছে। তবে বাজারে আসা বড় ইলিশের পেটে ডিম ভর্তি রয়েছে। তাই বড় ইলিশ কিনিনি।'
উপজেলার জলাবাড়ী ইউনিয়নের কামারকাঠি গ্রামের ইলিশ শিকারি মো. সুমন (৪০) বলেন, `কয়েক দিন নদীতে তেমন মাছ পাইতাম না। গত দুই দিন ধরে দিনে-রাতে জাল পাতার পর জোয়ারের জন্য দুটি গোন পাই। গড়ে দুটি গোনে ছয় কেজি থেকে সাড়ে ছয় কেজি মাছ ওঠে। তবে মহাজনের কাছ থেকে আগেই দাদন নিয়েছি। তাই আশানুরূপ দাম পাই না।'
এ ব্যাপারে মাছ ব্যবসায়ী আসলাম বলেন, সামনে ২২ দিন অবরোধ। তাই এই সময়ে বাজারে ইলিশ মাছের চাহিদা বেশি। তবে বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান খুবই কম।
মাছ ব্যবসায়ী আরও বলেন, বাজারে ছোট সাইজের ইলিশের চাহিদা বেশি। কারণ এই ছোট ইলিশ সব শ্রেণির ক্রেতার সামর্থ্যের মধ্যে রয়েছে। আর বড় ইলিশ টার্গেট করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা। তাঁরা একসঙ্গে পাঁচ-সাতটি বড় ইলিশ এবং সাত-আট কেজি মাঝারি ছোট সাইজের ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।