পূর্ণিমার জোয়ার ও লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। ফলে উপকূলীয় বিভিন্ন নদ-নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সমুদ্রের কুয়াকাটার সৈকতে আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দমকা বাতাসের সঙ্গে থেমে থেমে কখনো ভারী, আবার কখনো গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্রের তাণ্ডবে টিকতে না পেরে মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে জেলেরা মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুর আড়ত ঘাট শিববাড়িয়া নদীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছেন।
এ ছাড়া ঢেউয়ের তাণ্ডবে এফবি বিসমিল্লাহ ও মায়ের দোয়া-১ সহ সাতটি মাছ ধরার ট্রলার নিমজ্জিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব ট্রলারের জেলেদের অন্য ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে ঘাটে নিয়ে আসেন বলে জানান মৎস্য-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ফিরে আসা জেলেদের চোখেমুখে রয়েছে হতাশার ছাপ। কারণ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নতুন আশা নিয়ে রুপালি ইলিশের সন্ধানে গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলেন তাঁরা।
পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সব মাছ ধরার ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
মহিপুর ও আলীপুর ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, একের পর এক সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার আড়ত ঘাটে এসে নোঙর করছে। জেলেরা জানান, ইলিশ পাওয়ার আশা নিয়ে গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলাম। কিন্তু সাগর উত্তাল। ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে টিকে থাকাই দায়। তাই কেউ জাল না ফেলে, আবার কেউ জাল তুলে তীরে এসেছেন।
জেলে হাচন মাঝি বলেন, ‘সাগর উত্তাল হয়ে ওঠার কারণে জাল তুলে শূন্য হাতে ঘাটে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।’
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার মোল্লা বলেন, বর্তমানে সাগর উত্তাল। গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলার তীরে আসতে শুরু করেছে। এসব ট্রলার মহিপুর আলীপুর আড়ত ঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছে। আবহাওয়া ভালো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব ট্রলার আবার সাগরে যাত্রা করবে বলে জানান তিনি।