উৎসবমুখর পরিবেশে বরিশালের বাকেরগঞ্জের ৩টি ইউনিয়নে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে গতকাল রোববার সকাল থেকে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল। কেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মত। তবে দূরবর্তী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংকটের কারণে কোন কোন স্থানে ভোট দিতে গিয়ে দুর্ভোগে পরেন ভোটারেরা।
উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের কাফিলা পল্লি মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা পৌনে ১১টায় গিয়ে দেখা যায় নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন। ৮০ বছরের কেতাব জান নুয়ে নুয়ে ভোট দিতে এসেছেন কেন্দ্রে। একই অবস্থা ৭০ বছরের নুরজাহান বেগমের। ওই কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা বহিরাগতদের অনেকটা ধাওয়ার ওপরেই রেখেছিল অধিকাংশ সময়। রামনগর এ আর কে জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১ হাজার ৭০৩ ভোটের বিপরীতে ৭২৩ ভোট গ্রহণ হয়েছে বলে জানান প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুর রাজ্জাক।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাজাহানকে দেখা যায় মোটরসাইকেলে করে ছুটে এসেছেন একটি কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ শান্ত ও সুষ্ঠু। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায়সহ র্যাব, পুলিশের একাধিক টিম ছিল নির্বাচনী এলাকায়।
দুর্গাপাশা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে দল বেঁধে ভোটারেরা কাদামাটি পেড়িয়ে ভোটকেন্দ্রের প্যান্ডেলের দিকে যাচ্ছে। কথা হয় সেখানে ভোট দিতে আসা ষাটোর্ধ্ব রেনু বেগমের সঙ্গে। নিজেদের জমিতে ফাঁকা জায়গায় ভোট দিতে পেরে তিনি আনন্দিত।
সেখানকার প্রবীণ বাসিন্দা মো. ইউনুস বলেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এর পর পার্শ্ববর্তী ৫ নম্বর ওয়ার্ডে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হলেও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কোন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ভোটের জন্য ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অন্য ওয়ার্ডে গিয়ে ভোট দিতে আগ্রহী না হওয়ায় নির্বাচন কমিশন থেকে স্থানীয় তোফাজ্জেল মিয়ার বাড়ির খোলা মাঠে অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র স্থাপন করে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রিসাইডিং অফিসার ফারুক আহম্মেদ হাওলাদার জানান, এখানে কোন স্কুল না থাকায় ফাঁকা মাঠের মধ্যে অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র স্থাপন করে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এদিকে উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নেও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভোট সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।