হোম > সারা দেশ > বান্দরবান

তমব্রু গ্রামে আশ্রয় নেওয়া নিবন্ধিত ৫৯৯ রোহিঙ্গার খোঁজ নেই

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি  

অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া শূন্যরেখা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে তমব্রু গ্রামে আশ্রয় নেওয়া ৫৯৯ রোহিঙ্গার হদিস পাচ্ছে না শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়। আজ মঙ্গলবার সপ্তম দফায় ৪০ পরিবারের ১৯০ জনকে রোহিঙ্গা ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করার পর বিষয়টি বেরিয়ে আসে। কক্সবাজারে অবস্থিত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে তমব্রু গ্রামে আশ্রয় নেওয়া ৫৫৮ পরিবারের ২ হাজার ৯৭০ রোহিঙ্গার নিবন্ধন করা হয়। পরে আরও ১৬ রোহিঙ্গা যোগ হয়ে সর্বশেষ সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৮৬ জনে। এর মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত তমব্রু গ্রাম থেকে ৭ কিস্তিতে কুতুপালংসংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নিবন্ধিত ২ হাজার ৩৮৭ জন রোহিঙ্গাকে নেওয়া হয়। বাকি ৫৯৯ রোহিঙ্গার খোঁজ নেই। 
 
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর ইউনিয়নের তমব্রুতে আশ্রয় নেওয়া নিবন্ধিত ৫৯৯ রোহিঙ্গার হদিস মিলছে না। তারা অন্যত্র পালিয়ে গেছে। এ কারণে ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করাও সম্ভব হয়নি। 

ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অনিবন্ধিত ৫৫ পরিবারের ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা তমব্রু গ্রামে আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছে। যাদের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছে না। তারাও ওই ৫৯৯ রোহিঙ্গার মতো পালাতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন। 

এ বিষয়ে কক্সবাজারে অবস্থিত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা ওপরের নির্দেশমতো সব কাজ করে যাচ্ছেন। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭ কিস্তিতে নিবন্ধিত ২ হাজার ৩৮৭ রোহিঙ্গাকে কুতুপালংসংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়েছে। নিবন্ধিত ৯৭ পরিবারের আরও ৫৯৯ জনের খোঁজ পাননি। এ কারণে তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আরও জানান, তুমব্রু গ্রামে এখনো অবস্থান করছে অনিবন্ধিত ৫৫ পরিবারের সদস্যরা। যাদের সঠিক সদস্য সংখ্যা তিনি বলতে পারছেন না। ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছেন না, কারণ তারা অনিবন্ধিত। এদের বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিজিবি কর্তৃপক্ষকে দ্রুত জানাবেন। 

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা এ বিষয়ে জানান, ইতিমধ্যে অনিবন্ধিত ৫৫ পরিবার মিয়ানমারের তমব্রুতে অবস্থান করছে বলে জেনেছেন। বিষয়টি বান্দরবান কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করছেন। 

সেতু যেন মৃত্যুফাঁদ

বান্দরবানে পার্বত্য চুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন

জোত পারমিটের আড়ালে কাঠ পাচার

বান্দরবানের থানচি: গতি নেই বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে

বান্দরবানের শঙ্খ নদে ইঞ্জিনচালিত দুই নৌকার সংঘর্ষ, নিহত ১

থানচিতে পর্যটক ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আংশিক শিথিল, কর্মবিরতি প্রত্যাহার

বান্দরবানে পালিয়ে এলেন মিয়ানমারের ৫ সেনা ও সীমান্তরক্ষী পুলিশ, থানায় সোপর্দ

বান্দরবানে হাতির আক্রমণে রাবারবাগানের মালিকের মৃত্যু

বান্দরবানে এনসিপির নেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বান্দরবানে যাত্রীবাহী বাস থেকে ৬ রোহিঙ্গা যুবক আটক