হোম > শিল্প-সাহিত্য > কবিতা

এইচ বি রিতার একগুচ্ছ কবিতা

এইচ বি রিতা

অনুস্মারক

দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে আছি বিভক্ত ছিদ্র 
সাথে একটি বেদনাদায়ক অনুস্মারক। 

জানালার পাশে দাঁড়াতেই দেখি 
মধ্যরাতের কাস্তের বাঁকা চাঁদ ইশারায় ডেকে যায়
টিপটিপ পায়ে এগিয়ে যাই দরজার কাছে
উন্মুক্ত হতে শত ভয় যার, সেই আমাকেই আঁধার
আলিঙ্গন করে অকপটে।

রাতের সাথে আঁধারের মিথস্ক্রিয়ায়-দীপ্তিময় ভোর 
উদ্ভাসিত হয় নব প্রত্যয়ে 
লুকুচুরি খেলায় হেরে গেলে শতক পথিক
বিজড়িত রেখাগুলি চলার পথে মোজাইক তৈরি করে। 

অথচ, আমি ভেঙে পড়লেও ভেঙে পড়ি না 
কেননা, আমিই সেই বেঁচে থাকার অনুস্মারক।

ছোপগুলোতে যত মায়া

ক্যাটারাকে দেখছো মহাবিশ্ব
নেচে যাও অবলীলায় অলেন্ডার -করবী 
কখনো তুমিই সেই ডেডলি নাইটশেড, যাকে দেখে
দৌড়ে দৌড়ে কুকুরগুলোও পথ ভুলে যায়। 

তুমিই সেই, হাপিত্যেশে ছেড়ে যে শূন্যমাঠ দেখে ভাব, 
ভীতুর দল সব লেজ গুটিয়েছে আজ
তারপর উলঙ্গ পথিকের মতো দাঁত কেলিয়ে হাসো।

হাসতে হাসতে তুমি মদ্যপ হও
মদ্যপ হতে হতে উলঙ্গ হও, তারপর আবারও হাসো-
ঠিক মাংসাশী হায়েনার মতো। 

তুমি নিজেও জানো না,
ভয় নয়, তোমার নগ্নদেহের ঝলসানো ছোপগুলোতে-
আজ আমার ভীষণ করুণা হয়।

স্বাগত তোমাকে

আজ না হয় পথে হাঁটি একা-আলোহীন কালোয় 
দেখে নেই মনের কৈতবের প্রকারভেদ। 
যদি বলো, হিংস্র ক্ষুদ্রচেতা নারী তুমি স্খলিত হও, 
তবে স্বাগত জানাব তোমার তীব্রকণ্ঠের-
নিনাদিত স্বর। 

তুমি হয়তো জানো না, 
নভস্থিত মানুষের হারাবার কিছুই বাকি থাকে না।
তুমি এ-ও জানো না, 
অধ্বগ রেখে গেলে পদচিহ্ন বালুকাবেলায়;
হারানো পথে আবারও হয় নব জন্মের উৎসব।

আজ না হয় তবে পথে হাঁটি একা-
আলুথালু আলোক-ঋণে
যদি আশ্বাসবচন দাও, তখনো স্বাগত তোমাকে।

তৌহিদুল হকের গুচ্ছ কবিতা

‘পঞ্চাশ বছর ধরে লিখছি, কিন্তু আমি ব্যর্থ’, স্বেচ্ছা অবসর জয় গোস্বামীর

স্বৈরাচারের স্বর্গলাভ

কফিনামা

অমাবস্যা 

লুইজ এলিজাবেথ গ্ল্যিকের একগুচ্ছ কবিতা 

উৎপাতশূন্যতন্ত্রী

আকাঙ্ক্ষাপত্র

দিব্যি বেঁচে আছি

নাগিনডান্স | বিকেল | রিসাইকেল বিন