হোম > আড্ডা

বিপৎসংকেত

সম্পাদকীয়

কামরুদ্দীন আহমদ তখন বার্মায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। সে সময় ভাস্কর নভেরা এসেছিলেন রেঙ্গুনে। অফিসের সুপারিনটেনডেন্টকে ভার দিয়েছিলেন নভেরাকে প্রয়োজনমতো কোথাও নিয়ে যাওয়ার। মূলত উডওয়ার্ক যেসব জায়গায় হয়, সেসব জায়গায় যাচ্ছিলেন নভেরা।

কামরুদ্দীন আহমদ নাশতার জন্য নিচে নামেন দেরিতে। ততক্ষণে নভেরা বেরিয়ে যান। এক দিন তিনি দেখেন, ব্রেকফাস্ট না করে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন নভেরা। কামরুদ্দীন আহমদকে দেখেই বললেন, ‘আপনি এত দেরিতে ব্রেকফাস্ট করেন? আমি তো ক্ষুধায় অস্থির হয়ে আছি!’

‘তুমি তো কোনো দিন আমার জন্য অপেক্ষা কর না। আমি কী করে জানব, আজ তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করছ?’

নভেরা জানালেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে তাঁর শিক্ষা সমাপ্ত হবে। তাই একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়া দরকার। এ ছাড়াও আগামীকাল থেকে তাঁকে বার্মিজদের পার্টিতে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে আলোচনায় তাঁদের শিল্পকলা, বিশেষ করে ভাস্কর্য সম্পর্কে আলাপ করার সুযোগ হবে।

পরদিন ভারতীয় ইম্পেরিয়াল ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজারের বাড়িতে পার্টি। নভেরা পরলেন কালো শাড়ি, গলায় রুদ্রাক্ষের মতো মালা। প্রতিমার মতো লাগছিল তাঁকে। পার্টিতে যাওয়ার পর সব আলো গিয়ে পড়ল নভেরার ওপর। সবাই জানতে চাইল—এ মেয়ে ইংরেজি জানে কি না। কামরুদ্দীন আহমদ জানালেন, ইংরেজি, ফরাসি দুই ভাষাই জানে।

বাড়ি ফেরার পর নভেরা বললেন, কোনো বিপদ এলে তিনি আগেই টের পান। কেন যেন তাঁর মনে হচ্ছে, কোনো বিপদ আসছে। কামরুদ্দীন সাহেব অভয় দিলেন। সারা রাত দারোয়ানেরা পাহারা দেন। কিন্তু পরদিন রাত দুটোয় হঠাৎ করে কামরুদ্দীন আহমদের ঘরে করাঘাত করতে লাগলেন নভেরা। ধড়মড় করে উঠে বসলেন তিনি। নভেরা বললেন, ‘ঘরে ডাকাত ঢোকার চেষ্টা করছিল। পুলিশ ডাকুন।’

নভেরার ঘরে গিয়ে দেখা গেল, সত্যিই কেউ ভারী জিনিস দিয়ে কাচের দরজা ভেঙে ফেলেছে।

সূত্র: কামরুদ্দীন আহমদ, বাংলার এক মধ্যবিত্তের আত্মকাহিনী, পৃষ্ঠা: ৩২২-৩২৩

রমনা কালীবাড়ি বধ্যভূমি

আমাদের অর্জন অনেক

এবার অক্সফোর্ডের বর্ষসেরা শব্দ ‘রেজ বেইট’—এর অর্থ কী

রাষ্ট্রীয় সংস্কার করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট

জল্লাদখানা বধ্যভূমি

সিদলের স্বাদ

লেখকের সামাজিক অঙ্গীকার

চটপটিটা মজার

উপন্যাস

ঘসেটি বিবির মসজিদ