হোম > আড্ডা

স্বদেশির হাওয়া

সম্পাদকীয়

একটা সময় স্বদেশির একটা চমৎকার ঢেউ এসে লেগেছিল এ দেশে। সবাই ভাবতে শুরু করেছিল, দেশের জন্য কিছু করতে হবে। রবীন্দ্রনাথও তাতে মজেছিলেন। অবনীন্দ্রনাথসহ অনেকেই থাকতেন তাঁর সঙ্গে। একদিন একটা জুতোর দোকান খুলে বসলেন। দোকানের সামনে সাইনবোর্ড টাঙানো হলো, ‘স্বদেশী ভান্ডার’। স্বদেশি জিনিস ছাড়া কিছুই থাকবে না দোকানে—সেটাই ঠিক হলো।

সে বছর ভূমিকম্প হয়েছিল। প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্স উপলক্ষে নাটোরে ছুটলেন তাঁরা। সেখানে রবীন্দ্রনাথ প্রস্তাব করলেন, এই প্রাদেশিক সম্মেলন হবে বাংলা ভাষায়। তাহলে বুঝবে সবাই।

অবনীন্দ্রনাথরা সায় দিলেন তাঁর কথায়। কিন্তু বড় যাঁরা, তাঁরা তো কিছুতেই তা মানবেন না। তাঁরা বললেন, ‘যেমন কংগ্রেসে বক্তৃতা হয় ইংরেজিতে, প্রাদেশিক সম্মেলনও হবে ইংরেজিতে।’ কিন্তু যখনই কেউ বক্তৃতা দিতে ওঠেন ইংরেজিতে, তরুণের দল সমস্বরে চিৎকার করে ওঠে, ‘বাংলা, বাংলা!’ 
লালমোহন ঘোষ ছিলেন সাহেবি মানুষ। ইংরেজি ছাড়া কথাই বলতেন না। তিনিও বাংলায় বক্তৃতা করলেন এবং খুব সুন্দর বাংলায়। সেই প্রথম প্রাদেশিক সম্মেলনে বাংলায় বক্তৃতা হলো। ইঙ্গবঙ্গ সমাজকেও চটিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। এক পার্টিতে রবীন্দ্রনাথের নেতৃত্বে অবনীন্দ্রনাথ, তাঁর দুই ভাইসহ চারজন গিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘সব ধুতি-চাদরে চলো।’ ধুতি-পাঞ্জাবি, শুঁড় তোলা পাঞ্জাবি-চটি। সঙ্গে থাকল মোজা। তখনকার দিনে মোজা না পরা ছিল অসভ্যতা। রবীন্দ্রনাথ গাড়িতেই এক টানে খুলে ফেললেন মোজা জোড়া। আগাগোড়া দেশি সাজে চার মূর্তি!

পার্টির লোকজনের মুখ কালো। কেউ তাঁদের সঙ্গে কথা বলে না। রবীন্দ্রনাথও কারও সঙ্গে কথা বললেন না, শেষের বেঞ্চে বসে রইলেন তাঁরা। ইঙ্গবঙ্গরা নাকি পরে খেপে গিয়ে বলেছিল, ‘এ কেমন ব্যবহার!’

সেকালে বিলেতফেরতদের রীতি ছিল ধুতি-বর্জন করা। রবীন্দ্রনাথরা বিলেতি মোজা বর্জন করলেন। এরপর তো ধুতি-পাঞ্জাবি হয়ে উঠল জাতীয় পোশাক! 

সূত্র: ঘরোয়া, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রানি চন্দ, পৃষ্ঠা: ২৪-২৭

রমনা কালীবাড়ি বধ্যভূমি

আমাদের অর্জন অনেক

এবার অক্সফোর্ডের বর্ষসেরা শব্দ ‘রেজ বেইট’—এর অর্থ কী

রাষ্ট্রীয় সংস্কার করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট

জল্লাদখানা বধ্যভূমি

সিদলের স্বাদ

লেখকের সামাজিক অঙ্গীকার

চটপটিটা মজার

উপন্যাস

ঘসেটি বিবির মসজিদ