হোম > আড্ডা

­আবদুস সালাম­

সম্পাদকীয়

­আবদুস সালাম­

আবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।

১৯২৬ সালের ২৯ জানুয়ারি পাকিস্তানের পাঞ্জাবে আবদুস সালামের জন্ম। ছোটবেলায়ই তিনি প্রতিভার পরিচয় দেন। ১৪ বছর বয়সে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় রেকর্ড নম্বর পেয়ে লাহোরের গভর্নমেন্ট কলেজ ইউনিভার্সিটিতে বৃত্তিসহ ভর্তির সুযোগ পান। লাহোরে এক মাস পড়ার পর তিনি বোম্বে (বর্তমান মুম্বাই) চলে যান। আবার লাহোরে ফিরে এসে একটি কলেজে গণিত বিভাগ থেকে ১৯৪৪ সালে স্নাতক এবং লাহোর গভর্নমেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। চতুর্থ বর্ষে পড়ার সময় তিনি শ্রীনিবাস রামানুজনের গণিতের সমস্যা সমাধান নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেন।

তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সেন্ট জন কলেজ থেকে গণিত ও পদার্থবিদ্যায় ডাবল ফার্স্টক্লাস লাভ করেন। অর্জন করেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মিথ পুরস্কার। এখান থেকেই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এ জন্য আবার অ্যাডামস পুরস্কার লাভ করেন। তারপর তিনি লাহোর গভর্নমেন্ট ইউনিভার্সিটিতে গণিতের অধ্যাপক হন। এরপর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগের প্রধান হন।

১৯৫৪ সালে পাকিস্তান একাডেমি অব সায়েন্সের অন্যতম সদস্য হন আবদুস সালাম। দাঙ্গার কারণে লাহোর ছেড়ে ১৯৫৪ সালে সেন্ট জন কলেজে গণিতের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।

আবদুস সালাম ১৯৫৯ সালে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে রয়্যাল সোসাইটির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের বিদেশি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলে পাকিস্তানের পরমাণু শক্তি সামর্থ্যের উন্নতিকল্পে আবদুস সালামের কর্তৃত্বকে খণ্ডন করেন এবং সংসদে একটি বিল পাস করে আহমদিয়া মুসলিমদের অমুসলিম হিসেবে ঘোষণা করেন। এর প্রতিবাদে সালাম দেশ ত্যাগ করে ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানেই তিনি ১৯৯৬ সালের ২১ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

কোচির ইহুদি পরিবারের ঐতিহ্য যেভাবে বাঁচিয়ে রাখছেন এক মুসলিম

গাবতলী সেতু বধ্যভূমি

সাহিত্যচর্চা এবং মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট

রমনা কালীবাড়ি বধ্যভূমি

আমাদের অর্জন অনেক

এবার অক্সফোর্ডের বর্ষসেরা শব্দ ‘রেজ বেইট’—এর অর্থ কী

রাষ্ট্রীয় সংস্কার করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট

জল্লাদখানা বধ্যভূমি

সিদলের স্বাদ

লেখকের সামাজিক অঙ্গীকার