হোম > নারী

ইসরায়েলি নারীরা মানসিক স্বাস্থ্য সংকটে

ফিচার ডেস্ক

যুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং দৈনন্দিন আতঙ্ক ইসরায়েলি নারীদের গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, ইসরায়েলি নারীদের বিভিন্ন মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার গ্রাফ বেশ ঊর্ধ্বমুখী। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যাঁরা সরাসরি হামলার শিকার বা আত্মীয়স্বজন হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ নারী পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার বা পিটিএসডি রোগে আক্রান্ত হবেন। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের গাজা সংঘাতের পর ইসরায়েলি নারীদের পিটিএসডি রোগে আক্রান্তের হার ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল।

তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা জানিয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী রকেট হামলা এবং সাইরেনের শব্দে ৪০ শতাংশ ইসরায়েলি নারী ডিপ্রেশন ও অ্যাংজাইটিতে ভুগতে পারেন। এ ছাড়া বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে অনিদ্রা বা আতঙ্কে ঘুমের সমস্যার রিপোর্ট করেছিলেন ৬০ শতাংশ নারী। এর পরিমাণ এবার আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ঝুঁকির কারণ

বিভিন্ন গবেষণায় যেসব তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো মূলত ইরান ও গাজার সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতের ওপর ভিত্তি করে সংগ্রহ করা। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে মানসিক সমস্যা তৈরি হওয়ার তিনটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো:

ধারাবাহিক আতঙ্ক: ইরানের হামলা এবং গাজা সীমান্তে অস্থিরতা নারীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ বা ক্রনিক স্ট্রেস সৃষ্টি করেছে।

পরিবারের সদস্যদের সামরিক তৎপরতা: অনেক নারীর স্বামী বা সন্তান সেনাবাহিনীতে কাজ করায় তাঁদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অতিরিক্ত উদ্বেগ।

অর্থনৈতিক চাপ: যুদ্ধের কারণে কাজ হারানো বা আয় কমে যাওয়া অনেকের মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।

এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ করে একক মা, বৃদ্ধ নারী, যাঁদের আগের যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আরব-ইসরায়েলি নারীরা মানসিক রোগের একেবারে লাল বিন্দুতে রয়েছেন। বৃদ্ধ নারীদের অতীত যুদ্ধের ট্রমা আবার সক্রিয় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি সমাজে আরব-ইসরায়েলি নারীরা জাতিগত বৈষম্য ও যুদ্ধের ভয়—এই ‘ডাবল স্ট্রেস’-এর শিকার হতে পারেন।

এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও ইসরায়েল জাতীয়

ট্রমা সেন্টার বা এনএটিএএল সপ্তাহে সাত দিনই কাউন্সেলিং সেবা দেয়। এ ছাড়া পিটিএসডি চিকিৎসায় ইএমডিআর থেরাপি ও বিনা মূল্যে ওষুধ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে প্রতিষ্ঠানটি দক্ষ মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের স্বল্পতায় ভুগছে। বর্তমানে প্রতি এক হাজার মানুষের জন্য একজন থেরাপিস্ট রয়েছেন দেশটিতে।

প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, যুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের নারীদের মধ্যে ইন্টারজেনারেশনাল ট্রমা বা প্রজন্মান্তরে ট্রমা স্থানান্তর দেখা দিতে পারে। ফলে দেশটিতে নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে ইসরায়েলি নারীদের আত্মহত্যার হার প্রতি লাখে সাড়ে চারজন।

সূত্র: ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এনএটিএএল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বড়দিনের বিখ্যাত গানগুলোর নেপথ্যের নারীরা

উদ্যোক্তা মেলা: সংখ্যা কমলেও আশাবাদী নারী উদ্যোক্তারা

রোজের ফুটে ওঠার গল্প

আন্তর্জাতিক নারী: অন্ধকার আকাশ যাঁর ল্যাবরেটরি

অধিকারের পক্ষে মার্থার লড়াই

‘মেয়েদের ফুটবলে বাধা দিতে খোঁড়া হয়েছিল মাঠ’

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য মন্ত্রণালয় ও সংসদে আসনের দাবি

জটিল প্রক্রিয়ার কারণে অনলাইনে হয়রানির শিকার হয়েও অভিযোগ করতে পারেন না নারীরা

ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে শাহেলীর লড়াই

১১ মাসে নির্যাতনের শিকার ২,৫৪৯ নারী ও কন্যাশিশু