হোম > প্রযুক্তি

ইউরোপে বাড়ছে চীনের চালকবিহীন গাড়ির বাজার

ফিচার ডেস্ক

অনেক কারণে চীনের চালকবিহীন গাড়ির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করতে পারছে না। তাই দেশটি এখন ইউরোপকে নতুন বাজার হিসেবে বেছে নিচ্ছে। তারা ইউরোপে অফিস খুলছে, তথ্য ভাগাভাগির চুক্তি করছে এবং রাস্তায় তাদের চালকবিহীন গাড়ির প্রযুক্তি পরীক্ষার কাজ করছে। এ ধরনের উদ্যোগগুলো ইউরোপের স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। কারণ, চীন বাজারে প্রবেশ করলে তাদের জন্য ব্যবসায়িক চাপ বাড়বে।

বিশ্বে এখন চীনা গাড়ির বাজার বাড়ছে। সেগুলোর অর্ধেকের বেশি মডেলে এখন চালকবিহীন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু গাড়িতে এটি মূল ফিচার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চীন নিজের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশ্বব্যাপী চালকবিহীন গাড়ি প্রযুক্তিতে সেরা হওয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে; পাশাপাশি দেশটির সম্পৃক্ত সংস্থাগুলো প্রযুক্তি পরীক্ষা ও উন্নয়নের কাজ সহজ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কিউক্রাফটের প্রযুক্তি-প্রধান ডং লি বলেন, ‘ইউরোপকে আমাদের বৈশ্বিক পরিকল্পনার মূল কেন্দ্র হিসেবে দেখছি। ইউরোপের পরিবেশ যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক বেশি উন্মুক্ত।’ কিউক্রাফট এরই মধ্যে জার্মানিতে নতুন দপ্তর করার ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ইউরোপের কয়েকটি গাড়ি নির্মাতার সঙ্গে কাজ করছে এবং আশা করছে, দুই বছরের মধ্যে তাদের প্রযুক্তি বিক্রি শুরু হবে।

মোমেন্টার, ডিপরুট, উইরাইড, বাইডু এবং পনি এআইয়ের মতো চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো ইউরোপে তাদের ব্যবসার সম্প্রসারণ করছে। মোমেন্টা জার্মানিতে উবারের সঙ্গে লেভেল-৪ চালকবিহীন প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছে, তারা অদূর ভবিষ্যতে মার্সিডিজ বেঞ্জের জন্য চালক-সহায়ক প্রযুক্তি তৈরি করবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরোপে চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবেশ করায় প্রতিযোগিতা বাড়বে। ইউরোপে চালকবিহীন প্রযুক্তি এখনো ব্যয়বহুল। কিন্তু চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো সস্তা কিংবা বিনা মূল্যে প্রযুক্তি সরবরাহ করে বাজারে সুনাম কুড়িয়েছে। তবে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান কেনলাইসের তথ্য অনুসারে, চলতি বছর চীনে বিক্রি হওয়া প্রায় ৬০ শতাংশ গাড়িতে লেভেল-২ চালকবিহীন প্রযুক্তি থাকবে। তবে এটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে চালকবিহীন হলেও তাতে চালক থাকতে হবে।

ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে চালকবিহীন প্রযুক্তি এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এমন বাজার ইউরোপেও তৈরি হওয়া উচিত।’ তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্য একক নীতি এবং সমন্বিত নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছেন।

কিছু ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান চীনের এই ব্যবসা সম্প্রসারণে উদ্বিগ্ন। তারা চাইছে কঠোর নিয়ন্ত্রণ, যাতে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সমান থাকে। অন্যদিকে অনেক প্রতিষ্ঠান মনে করছে, চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো ইউরোপের বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে প্রযুক্তির মান উন্নয়নে সাহায্য করবে।

চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো ইউরোপে নতুন দপ্তর খোলা, রাস্তায় পরীক্ষা চালানো এবং ডেটা চুক্তি করার মাধ্যমে সেখানে স্থায়ী বাজার গড়ার পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই প্রচেষ্টা ইউরোপীয় প্রযুক্তি খাতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ—উভয়ই তৈরি করছে।

সূত্র: রয়টার্স

ফোনে আড়িপাতায় মরিয়া ভারত, এবার নজর স্যাটেলাইটে

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালার খসড়া প্রকাশ

প্রবাসীরা ৬০ দিনের বেশি দেশে থাকলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে

৭০০০ এমএএইচ ব্যাটারির ফোন এনেছে অপো

কর্মীদের ফোনের টেক্সট মেসেজ দেখতে পারবেন বস, গুগলের নতুন ফিচার

‘সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধে শিশুদের নিরাপত্তাঝুঁকি আরও বাড়বে’, ব্যাখ্যায় যা বলল ইউটিউব

তিন পার্বত্য জেলার স্কুলে বসছে স্টারলিংক সংযোগ

এআই বিশ্বে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য আরও তীব্র করে তুলবে: জাতিসংঘ

টেলিটকের প্রযুক্তিগত বৈষম্য নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

খাওয়া যায় যে রোবট, পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন স্বাদেরও