বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণ ও পরিকল্পনাহীন নগরায়ণের ফলে বিপন্ন হয়ে পড়ছে পরিবেশ। মানুষের কারণেই যে পৃথিবী ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে, তার আরও একটি সংকেত পাওয়া গেল।
দ্রুতগতিতে বিশ্ব উষ্ণ হয়ে উঠছে। পরিবেশদূষণের মাধ্যমে মানুষ বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ার গতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০৪০ সালের আগে আর্কটিক সাগরে কোনো বরফ থাকবে না! এমনকি এখন থেকেই যদি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তারপরও এই পরিণতি ঠেকানো যাবে না। সে ক্ষেত্রে সময়টা হবে আনুমানিক ২০৫০ সালের গ্রীষ্মকাল।
শীতকালে উত্তর মেরু সাগরের ওপর বরফ জমা হতে শুরু করে। গ্রীষ্মকালে তা আবার গলতে থাকে। সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসে বরফ সবচেয়ে কম থাকে এবং তারপর শীতের আগমনে পুনরায় নতুন করে বরফ জমতে শুরু করে। ১৯৭৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি ও তথ্যের ভিত্তিতে যেসব পরিবর্তন এসেছে, তা ‘নেচার’ ম্যাগাজিনের এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রধান গবেষক ও দক্ষিণ কোরিয়ার পোহাং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক সেউং কি মিন ও তাঁর গবেষক দল বিশ্লেষণ এবং বিভিন্ন ধরনের জলবায়ু নমুনা মূল্যায়ন করার পর মত দেন, যখন গ্রীষ্মে উত্তর মেরু বরফশূন্য হয়ে পড়বে, তখন শীতকালে বরফ জমার গতি ধীর হয়ে যাবে।
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল পোড়ানোর বর্তমান হার এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে এই পরিণতি ঠেকানোর আর কোনো উপায় থাকবে না। উল্টো সামনের দিনগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে উত্তর মেরু হয়তো ধারণার চেয়েও দ্রুত বরফহীন হয়ে পড়বে।
সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইম, কমিউনিকেশনস