অ্যাপলের প্রথম ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে নতুন তথ্য ফাঁস হয়েছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ডফোর্স জানিয়েছে, ডিভাইসটির দুটি ডিসপ্লে থাকবে—একটি ৮ ইঞ্চি এবং অপরটি ৬ দশমিক ৫ ইঞ্চি আকারের।
অ্যাপল সাপ্লাই চেইন বিশ্লেষক মিং-চি কুও গত মার্চেই এই একই ডিসপ্লে সাইজের কথা বলেছিলেন। ফলে এবার একাধিক সূত্র থেকে একই তথ্য পাওয়া গেল, যদিও ট্রেন্ডফোর্স কুওর তথ্যই পুনরাবৃত্তি করছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
ফোল্ডেবল স্মার্টফোন বাজারে ইতিমধ্যে স্যামসাং জনপ্রিয় ‘গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭’ নামের ফোল্ডেবল ফোন নিয়ে এসেছে, যার অভ্যন্তরীণ ডিসপ্লে ৮ ইঞ্চি এবং বাইরের ডিসপ্লে ৬ দশমিক ৫ ইঞ্চির।
ট্রেন্ডফোর্সের মতে, অ্যাপল তাদের ফোল্ডেবল আইফোন বাজারে আনবে ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে এই ডিভাইস উন্মোচিত হতে পারে।
গত সপ্তাহে মিং-চি কুও জানান, অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের পরবর্তী ফোল্ডেবল ফোন—আইফোন ফোল্ড এবং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৮—‘ক্রিজ-ফ্রি’ বা দাগহীন ডিসপ্লে নিয়ে আসবে। অ্যাপল এ জন্য স্ক্রিনের নিচে একটি পাতলা ধাতব প্লেট রাখবে, যা পুরো ডিসপ্লেটিকে শক্ত ভিত্তি দেবে। এটি ডিসপ্লে ভাঁজ করার সময় তৈরি হওয়া চাপ সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে।
কুও আরও জানান, ফোল্ডেবল আইফোনে থাকবে দুটি রিয়ার ক্যামেরা, একটি ফ্রন্ট ক্যামেরা এবং ফেস আইডির বদলে টাচ আইডি সমর্থিত পাওয়ার বাটন।
এ ছাড়া ফোনটিতে টাইটেনিয়াম ব্যবহার করা হতে পারে। ফলে অ্যাপলের ফোল্ডেবল ফোনটি হালকা-পাতলা, তবে মজবুত হবে।
অ্যাপল বিশেষজ্ঞ মার্ক গুরম্যানের মতে, প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য শুধু ভাঁজ লুকানো নয়, বরং তা সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলা। পাশাপাশি নতুন ফোল্ডেবল আইফোনে উচ্চমানের হিঞ্জ বা ফোল্ডিং মেকানিজম থাকবে। ফলে স্ক্রিন একেবারে মসৃণ হবে।
মিং-চি কুয়ো জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে এই ফোল্ডেবল আইফোনের উৎপাদন শুরু হবে। তাই ২০২৬ সালের শেষ কিংবা ২০২৭ সালের শুরুতে বাজারে আসতে পারে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, প্রযুক্তির দুনিয়ায় ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে, আর ২০২৬ সালেই হয়তো মিলবে সেই প্রতীক্ষার অবসান।