হোম > প্রযুক্তি

নিজের শৈশব থেকে অভিভাবকদের যে পরামর্শ দিলেন বিল গেটস

শৈশবের অনেকটা সময় বই পড়ে এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করে কাটাতেন তিনি। ছবি: এএফপি

শিশুর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আনন্দময় শৈশব অত্যন্ত জরুরি। তবে শৈশবে স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে পড়ে থাকলে বিলিয়নয়ের হতে পারতেন না বলে মনে করেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। সাম্প্রতিক এক ব্লগ পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি। সেই সঙ্গে স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তি কমানোর জন্য অভিভাবকদের পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও দিলেন গেটস।

গেটস জানিয়েছেন, শৈশবের অনেকটা সময় বই পড়ে এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করে কাটাতেন তিনি। এই অভ্যাসগুলো তার মনোযোগী মনোভাব বিকাশে সহায়তা করেছিল, যা তার পরবর্তী সফলতার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

ব্লগ পোস্টটিতে জনাথন হেইডটের ‘দ্য অ্যানশাস জেনারেশন’ বইটির কথা উল্লেখ করেন গেটস। তিনি বলেন বর্তমান প্রযুক্তি-নির্ভর পরিবেশে তিনি এসব অভ্যাস গড়ে তুলতে পারতেন না। এমনকি স্মার্টফোনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করার সঙ্গে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে উদ্বেগ, বিষণ্নতা, খাওয়ার অস্বাভাবিকতা, আত্মহত্যার প্রবণতা এবং আত্মসম্মান কমে যাওয়ার মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বেড়ে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন।

বিল গেটস বলেন, ‘আমার শৈশব ছিল অসাধারণ স্বাধীনতায় পূর্ণ। । অনেকেই করেন যে, আমি সারা দিন কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতাম। আমি এমন কাচা পথ ধরে হাইকিং (পাহাড়ে উঠতাম) করতাম যা আজকের অভিভাবকদের কাছে ভয়ানক বলে মনে হবে। প্রতিবেশী বন্ধুদের সঙ্গে সারা দিন ঘুরে বেড়াতাম এবং সিনেট পেজ হিসেবে ওয়াশিংটন ডিসি শহরে ছুটোছুটি করতাম। হাইস্কুলে পড়ার সময় পল অ্যালেন এবং আমি কিছু মাস ধরে কানাডার ভ্যানকুভার ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে একা বসবাস করেছিলাম। সেখানে এক পাওয়ার কোম্পানিতে প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করছিলাম আমরা।’

গেটস আরও বলেন, বেশির ভাগ সময় তিনি কোথায় থাকতেন তা তার বাবা-মা জানতেন না। তখনকার যুগে এটিই স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। যদিও আমি এই সব রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা লাভের সময় কয়েকবার আহত হয়েছিলাম এবং অনেক সময় বিপদে পড়েছিলাম। তবুও এই অভিজ্ঞতাগুলো চরিত্র গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো আমাকে স্থিতিস্থাপকতা, স্বাধীনতা এবং বিচার-বুদ্ধি শিখিয়েছে, যেগুলো কোনো ধরনের তত্ত্বাবধান বা কাঠামোগত কার্যক্রমে শেখানো সম্ভব ছিল না।’

গেটস বলছেন, এখনকার সময়ে ‘ফোন-ভিত্তিক শৈশব’ অনেক বেশি সাধারণ। এটি এমন একটি পরিবর্তন যা মহামারির আগেই শুরু হয়েছিল। তবে শিক্ষার এবং সামাজিকীকরণের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তা শিশুদের মধ্যে স্মার্টফোনের ব্যবহার আরও বেড়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে, বর্তমান যুগের অভিভাবকেরা বাস্তব দুনিয়াতে শিশুদের মুখোমুখি হওয়ার সময় অতিরিক্ত সুরক্ষা দিলেও তবে ডিজিটাল দুনিয়ার বিচরণের ক্ষেত্রে তারা নির্লিপ্ত। প্রায় কোন তত্ত্বাবধান ছাড়াই তাদের সন্তানদের অনলাইনে জীবনযাপন করতে দিচ্ছেন।

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

মিসড কল মেসেজ ও ছবি থেকে অ্যানিমেশনসহ যেসব ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

অস্ট্রেলিয়ায় ২ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ: ‘এটা কাজ করছে না ব্রো’— প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ জেন-জি’দের

সকালে ঘুম ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার লাখো শিশু দেখবে তাদের ‘আইডি’ উধাও

ভারতে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মাইক্রোসফট

ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আমদানিতে বিটিআরসির ‘না’, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের

৩০ মিনিটের বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার শিশুদের মনোযোগের ক্ষমতা কমায়, বলছে গবেষণা

ট্রাম্পের নতি স্বীকার, এনভিডিয়ার শক্তিশালী এআই চিপ চীনে বিক্রির অনুমতি