রিয়াল মাদ্রিদে প্রথম মৌসুমটা কিলিয়ান এমবাপ্পের জন্য ছিল অম্লমধুর। তিনি গোলের পর গোল করলেও ২০২৪-২৫ মৌসুম রিয়ালকে শেষ করতে হয়েছিল মেজর কোনো শিরোপা না জিতেই। তবে গোলমেশিন এমবাপ্পে তাঁর ছন্দ ঠিকই ধরে রেখেছেন।
রিয়াল মাদ্রিদ ও ফ্রান্সের হয়ে ২০২৫-২৬ মৌসুমে এমবাপ্পে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৭ ম্যাচ। ৮ গোলের পাশাপাশি ২টি গোলে তাঁর অ্যাসিস্ট রয়েছে। নতুন মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেই ফরাসি ফরোয়ার্ড করলেন রেকর্ড। রিয়ালের জার্সিতে সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল মিলে ৬৪ ম্যাচে করলেন ৫০ গোল। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর রিয়ালের হয়ে দ্রুততম গোলের ফিফটি পূরণ করেছেন। রোনালদো লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে এই কীর্তি গড়েছিলেন ২০১০ সালের নভেম্বরে। সেবার রিয়ালের জার্সিতে ৫৪ ম্যাচে করেছিলেন ৫১ গোল।
এমবাপ্পের রেকর্ড গড়েছেন সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মার্শেইয়ের বিপক্ষে। তাঁর রেকর্ড গড়ার রাতে তুরিনে হয়েছে গোলের বন্যা। তুরিনে ২০২৫-২৬ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে জুভেন্টাস-ডর্টমুন্ড ম্যাচ ড্র হয়েছে ৪-৪ গোলে। তুরিনে প্রথমার্ধে জুভেন্তাস-ডর্টমুন্ডের কেউই কোনো গোল করতে পারেনি। ৫২ মিনিটে ডর্টমুন্ড মিডফিল্ডার কারিম আদেইমি ম্যাচে প্রথম গোল করেন। আদেইমি গোলমুখ খোলার পর নিয়মিত বিরতিতে গোল হয়েছে। ৯০ মিনিটের পর ছয় মিনিট বাড়ানো হয়েছে। ৪৪ মিনিটের ব্যবধানে হয়েছে ৮ গোল। জুভেন্টাসের চতুর্থ গোলটা নির্ধারিত সময়ের পর ছয় মিনিটে করেন দলটির ডিফেন্ডার লয়েড কেলি।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২২ মিনিটে রিয়ালের বিপক্ষে মার্শেই এগিয়ে যায় তিমোথি উইয়ার গোলে। উইয়াহ গোলটা করেছেন ম্যাসন গ্রিনউডের অ্যাসিস্টে। সমতায় ফিরতে রিয়ালের লেগেছে ছয় মিনিট। ২৮ মিনিটে পেনাল্টিতে সমতাসূচক গোল করেন এমবাপ্পে। প্রথমার্ধ ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর ২৭ মিনিট পর রিয়াল ১০ জনের দলে পরিণত হয়। ৭২ মিনিটে মার্শেই গোলরক্ষক হেরোনিমো রুলির গাল বরাবর আঘাত করার কারণে লাল কার্ড দেখেন দানি কারভাহাল। প্রথমে হলুদ কার্ড দেখানো হলেও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির মাধ্যমে (ভিএঅর) লাল কার্ড দেখানো হয় কারভাহালকে। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া রিয়াল এরপর এগিয়ে যায় এমবাপ্পের গোলে। ৮১ মিনিটে এই গোলটাও করেছেন পেনাল্টি থেকে।
জুভেন্টাস-ডর্টমুন্ড ৮ গোলের ম্যাচের স্কোরলাইন দেখেই স্পষ্ট বোঝা যায়, ম্যাচটা কতটা রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। কীভাবে এই ম্যাচের বাঁক ঘন ঘন বদলেছে, সেটা একটু দেখে নেওয়া যাক:
৫২ মিনিট—জুভেন্টাস ০: ১ ডর্টমুন্ড
৬৪ মিনিট—জুভেন্টাস ১: ১ ডর্টমুন্ড
৬৫ মিনিট—জুভেন্টাস ১: ২ ডর্টমুন্ড
৬৭ মিনিট—জুভেন্টাস ২: ২ ডর্টমুন্ড
৭৫ মিনিট—জুভেন্টাস ২: ৩ ডর্টমুন্ড
৮৬ মিনিট—জুভেন্টাস ২: ৪ ডর্টমুন্ড
৯০+৪ মিনিট—জুভেন্টাস ৩: ৪ ডর্টমুন্ড
৯০+৬ মিনিট—জুভেন্টাস ৪: ৪ ডর্টমুন্ড