চোটে পড়ে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়ে যান নেইমার। আন্তর্জাতিক ফুটবল হোক বা ক্লাব ক্যারিয়ার—সব জায়গাতেই তিনি চোটের সঙ্গে লড়তে লড়তে ক্লান্ত। এই চোট নিয়েই তিনি করে ফেললেন হ্যাটট্রিক। যে হ্যাটট্রিকের জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছে তিন বছর।
বাংলাদেশ সময় আজ সকালে ব্রাজিলিয়ান সিরি ‘আ’তে মুখোমুখি হয়েছে সান্তোস-জুভেন্তুদ। হাঁটুর চোট নিয়ে এই ম্যাচে ৮৩ মিনিট খেলে করেছেন হ্যাটট্রিক। প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্রয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধেই নেইমার দেখান তাঁর জাদু। ৫৬, ৬৫ ও ৭৩ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড তুলে নিয়েছেন হ্যাটট্রিক। যার মধ্যে ৫৬ মিনিটে তাঁকে গোল করতে সহায়তা করেছেন গুইলার্মে। ৬৫ মিনিটে নেইমার গোল করেন ইগোর ভিনিসিয়ুসের অ্যাসিস্টে। ৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে তুলে নেন হ্যাটট্রিক।
সবশেষ হ্যাটট্রিক নেইমার করেছিলেন ২০২২ সালের ৯ এপ্রিল। পিএসজির জার্সিতে সেদিন ক্লেঁয়ারমন্তের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি একটি গোলেও অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনি। ৩ বছর ৭ মাস পর আজ হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন ব্রাজিলের তারকা ফরোয়ার্ড। তাঁর হ্যাটট্রিকে জুভেন্তুদকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে সান্তোস। সান্তোসের দুটি ম্যাচেই তিনি বিশেষ উপায়ে চোট সামলে খেলেছেন। এর আগে ২৯ নভেম্বর সিরি ‘আ’তে স্পোর্ট রেসিফের বিপক্ষে একটি করে গোল ও অ্যাসিস্ট করেছিলেন। সেই ম্যাচও সান্তোস জিতেছিল ৩-০ গোলে।
জুভেন্তুদের বিপক্ষে আজ হ্যাটট্রিক করার পর নেইমার বলেছেন তাঁর চোটের কথা। ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড বলেন, ‘নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারটা সবার আগে বিবেচনা করি। ক্যারিয়ারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে, এমন কিছু করি না। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর লড়ে যাচ্ছি চোটের সঙ্গে।’ মেনিস্কাসের চোটে পড়ায় আগামী সপ্তাহে নেইমারের বাঁ হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হতে পারে বলে ইএসপিএনের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে। ৩-০ গোলে জয়ের পর ৩৭ ম্যাচে সান্তোসের পয়েন্ট ৪৪। ২০ দলের মধ্যে পয়েন্ট তালিকায় এখন তারা ১৪ নম্বরে। ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে অবস্থান করছে জুভেন্তুদ। ফ্ল্যামেঙ্গো ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে সিরি ‘আ’র পয়েন্ট টেবিলের সবার ওপরে ফ্ল্যামেঙ্গো। প্রত্যেকেই খেলেছে ৩৭টি করে ম্যাচ।