প্রথম ২৪ মিনিটে কোনো গোলের দেখা নেই। এরপর ২৫ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে গোলবন্যা। নিয়মিত বিরতিতে চলছিল গোল উৎসবের উদযাপন। ঘটনাটা গতকাল স্টামফোর্ড ব্রিজে প্রিমিয়ার লিগের চেলসি-ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচ প্রসঙ্গে। একদম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ম্যাচে সব মিলিয়ে গোল হয়েছে ৮টি।
৮ গোলের ম্যাচে গোলের উৎসব শুরুটা করেন হালান্ড। ২৫ মিনিটে তাঁর পেনাল্টি থেকে করা গোলেই এগিয়ে যায় ম্যান সিটি। এরপর ২৯ ও ৩৭ মিনিটে থিয়াগো সিলভা ও রাহিম স্টার্লিং গোল করে চেলসিকে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ম্যানুয়েল আকাঞ্জির গোলে সমতায় ফেরে সিটিজেনরা।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর ৪৭ মিনিটে হালান্ডের গোলেই ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় ম্যান সিটি। সিটির যখনই গোলের প্রয়োজন, তখনই গতকাল ছিলেন হালান্ড। নরওয়ের এই স্ট্রাইকার ৮৬ মিনিটে রদ্রিকে দিয়ে গোল করিয়েছেন। রোমাঞ্চে ভরা ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিটে কোল পার্মারের পেনাল্টিতে ৪-৪ সমতা করে চেলসি। শেষ পর্যন্ত ৪-৪ গোলে ম্যাচ ড্র হয়। যেখানে ৪ গোলের তিনটিতেই অবদান রেখেছেন। পরতে পরতে থাকা রোমাঞ্চের এই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত হালান্ড। হালান্ড নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘বিরতির পর যুদ্ধ চলবে। অসাধারণ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।’
গোলবন্যার ম্যাচ ড্র হওয়ায় ১২ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ম্যান সিটি। অন্যদিকে ১২ ম্যাচ খেলে ৪টি করে ম্যাচ জিতেছে, হেরেছে ও ড্র করেছে চেলসি। চেলসি এখন পয়েন্ট তালিকার ১০ নম্বরে রয়েছে। রোমাঞ্চকর ড্রয়ের ম্যাচে চেলসিকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। গার্দিওলা ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আমরা লিগের শীর্ষে আছি। যদি ৭-০ ব্যবধানে জয়ের আশা নিয়ে আপনি এখানে খেলতে আসেন, তাহলে আপনি ভুল করেছেন। সবাই আমাদের হারাতেই চাইবে। আপনি বলতে পারেন, তাদের হারানোর কিছু নেই। কারণ সিটির কাছে চেলসি হারলে তা স্বাভাবিকই হতো। সিটি বেশ দুর্দান্ত দল। আর চেলসি কঠিন অবস্থা থেকে সব সময় ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমি যেদিন থেকে ইংল্যান্ডে আছি, সেদিন থেকেই দেখছি। চেলসি তো চেলসিই। গত ২৫ বছরের অন্যতম সেরা দল তারা।’