ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ইতিহাদে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা বসিয়েছিলো ম্যানচেস্টার সিটি। ঘরের মাঠে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের নাকানি-চুবানি খাইয়েছে চ্যাম্পিয়নরা। সিটির হয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে আর্লিং হালান্ড জানান দিলেন সব ধরনের রেকর্ডেই দখল করতে চান তিনি। একই ম্যাচে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক পেয়েছেন ঘরের ছেলে ফিল ফোডেনও।
শক্তির পার্থক্যে ইউনাইটেডের চেয়ে সিটিই এগিয়ে থাকায় ফেভারিটও ছিল তারাই। ম্যাচের শুরুটাও করে ফেভারিটের মতোন। আট মিনিটেই স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন ফোডেন। পরে ম্যাচের চতুর্থ গোলের মাধ্যমে সিটির হয়ে ৫০ তম গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
চার গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করা সিটিকে দ্বিতীয়ার্ধে যেন কিছুটা আলস্য পেয়ে বসেছিলো। তারই ফল ভোগ করে পেপ গার্দিওলার দল। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের কাছ থেকে পাওয়া বলে ইউনাইটেডের হয়ে বল জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান তারকা অ্যান্থনি। কিন্তু সব আলো আদতে কেড়ে নিয়েছেন সিটির নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার হালান্ড। চলতি মৌসুমে ক্লাবে যোগ দেওয়া এই তারকা করেছেন মৌসুমের তৃতীয় হ্যাটট্রিক। যার মাধ্যমে ১১ ম্যাচে ১৬ গোল করলেন এই গোলমেশিন। সিটির হয়ে লিগ গোলের অর্ধশতক পূরণ করা ফোডেনও পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক।
২০১১ সালের ২৩ অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইউনাইটেডকে ৬-১ এ বিধ্বস্ত করেছিল সিটি। সেই স্মৃতি মনে করাচ্ছিল আজও। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকে এসে বদলি হিসেবে নাম অ্যান্থনি মার্শালের জোড়া গোলে কিছুটা ভদ্রস্থতা পায় চূড়ান্ত ফল। মৌসুমের প্রথম ডার্বিতে ইউনাইটেড হারল ৬-৩ গোলে। তবে এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচে বেঞ্চ গরম করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রেড ডেভিলদের কোচ এরিক টেন হাগের প্রথম ইতিহাদ সফরও হলো দুঃস্বপ্নের মতো।