২০১৩ সালের ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে জয়। স্বাভাবিকভাবেই সেটা বাড়তি উচ্ছ্বাস বয়ে নিয়ে আসার কথা ছিল এভারটনের জন্য। তবে সেই উচ্ছ্বাস কিছুটা কমেছে ইদ্রিসা গেয়ার কারণে। তাতে অবশ্য ক্ষমা চাইতেও ভুল করেননি এভাটনের এই সেনেগালিজ মিডফিল্ডার।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সোমবার দিবাগত রাতে ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে এভারটন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাচের ২৯ মিনিটে সফরকারীদের ভাগ্য গড়ে দেওয়া গোলটি করেন কিয়েরনান দিয়েসবারি হল। তার ১৬ মিনিট আগেই ঘটে যায় ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত ওই ঘটনা। নিজেদের ডি বক্সে মাইকেল কিনকে উদ্দেশ্য করে বল বাড়ান গেয়া। কিন্তু পাস খুঁজে পায়নি এভারটনের ইংলিশ ডিফেন্ডারকে। বল ক্লিয়ার করতে পারেননি কিন।
সুযোগ পেয়ে শট নিয়েছিলেন ইউনাইটেডের পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেজ। পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে বল চলে যাওয়ায় রক্ষা হয় এভারটনের। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে কিনের দিকে তেড়ে যান গেয়া। এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন কিন। রাগ সামলাতে না পেরে তাঁর গালে চড় মারেন গেয়া।
পরিস্থিতি খারাপ দেখে গেয়াকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এভারটন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। তাতে অবশ্য রক্ষা হয়নি ৩৬ বছর বয়সী মিডফিল্ডারের। তাঁকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। পরবর্তীতে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) দেখে সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন রেফারি। লাল কার্ড দেখার পর আরও তেতে উঠেন গেয়া। খুব কষ্ট করে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নেন পিকফোর্ড।
রাগ কমতে বেশি সময় লাগেনি গেয়ার। ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার সতীর্থ কিনের কাছে ক্ষমা চাইছি। এই কাণ্ডের জন্য দায় আমার ঘাড়ে নিচ্ছি। বাকি সতীর্থ, কোচিং স্টাফ এবং ক্লাবের কাছেও আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
আর কখনো এমন ভুল করতে চান না গেয়া, ‘মাঠে যা হয়েছে সেটা আমার মূল্যবোধকে ফুটিয়ে তোলে না। মাঠে প্রবল আবেগের বশে অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটে গেছে। সেটা আমার আচরণকে যৌক্তিত বলে প্রকাশ করে না। এর দায় পুরোপুরি আমার। আমি নিশ্চিত করতে চাই যে আর কখনো এমন হবে না।’