একজন খেলোয়াড় চোটাক্রান্ত হন কালেভদ্রে। কিন্তু নেইমারের ক্ষেত্রে হয়ছে তার ঠিক উল্টো। বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেন এই ফরোয়ার্ডের সুস্থ থাকাই এখন অবাক করার মতো। গত কয়েক বছরে অপয়া চোটের কারণে বেশির ভাগ সময় মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে তাঁকে। এবার সেই চোট নিয়েই দলের জয়ের নায়ক হলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার।
ব্রাজিলিয়ান সিরিএ-তে ২৫ নভেম্বর ইন্টারনাশিওনালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে সান্তোস। সেই ম্যাচের আগে বাঁ হাঁটুর মেনিসকাস চোটে পড়েন সাবেক আল হিলাল তারকা। এরপর সান্তোস জানিয়েছিল, চলতি বছরের বাকি সময় আর মাঠে নামতে পারবেন না নেইমার। দেশটির বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমও জানিয়েছিলে এমন খবর।
ব্রাজিলের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, সান্তোস ক্লাব কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক এবং ব্যক্তিগত স্টাফরা নেইমারকে খেলা থেকে দূরে থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু কারও কথা তোয়াক্কা না করেই অনুশীলনে নেমে পড়েন তিনি। এবার মাঠেও নেমে পড়লেন।
ব্রাজিলিয়ান সিরিএ-তে রেলিগেশন শঙ্কা এড়াতে স্পোর্টের বিপক্ষে জেতার বিকল্প ছিল না সান্তোসের জন্য। দলের এমন কঠিন সময়ে চোটের দিকে তাকাননি নেইমার। এর ফল পেয়েছে সান্তোস। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৩-০ গোলে জয় তুলে নিয়ে আপাতত রেলিগেশন শঙ্কা এড়িয়ে স্বস্তিতে আছে সান্তোস। দলকে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট এনে দেওয়ার পথে একটি করে গোল এবং অ্যাসিস্ট করেন নেইমার।
ঘরের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে ২৫ মিনিটে নেইমারের গোলে এগিয়ে যায় সান্তোস। গুইলেরমে অগাস্তের বাড়ানো বলে বাঁকানো শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন নেইমার। ৩৬ মিনিটে আত্মঘাতী গোলের সুবাদে স্বাগতিকদের ব্যবধান বাড়ে। ৬৭ মিনিটে স্পোর্টের জালে শেষ পেরেক ঠুকে দেন হোয়াও শিমিত। নেইমারের কর্নার থেকে হেডে লক্ষ্য ভেদ করেন তিনি।