টানা ৩ জয়ের পর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হোঁচট খেয়েছে ফ্রান্স। আইসল্যান্ডের সঙ্গে ২–২ গোলে ড্র করেছে তারা। পয়েন্ট ভাগের পর একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রেফারির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফরাসিদের প্রধান কোচ দিদিয়ের দেশম।
নিজেদের মাঠে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ভিক্টর পালসনের গোলে লিড নেয় আইসল্যান্ড। প্রথম গোল নিয়েই রেফারির দিকে আঙুল তুলেছেন দেশম। তার দাবি, গোলের প্রস্তুতির সময় সফরকারীদের মিডফিল্ডার মানে কোনকে ফাউল করা হয়েছিল। ফাউলের বাঁশি না বাজানোয় নিন্দা জানিয়েছেন দেশম।
বিতর্কিত গোলের উপর দাঁড়িয়ে ৬২ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল আইসল্যান্ড। তাদের তাক লাগিয়ে ৫ মিনিটে ঝড়ে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ক্রিস্টোফার এনকুকু অতিথিদের সমতায় ফেরানোর পর স্কোরলাইন ২–১ করেন জিন ফিলিপে মাতেতা। বেশিক্ষণ স্বস্তিতে পারেনি গত আসরের রানার্সআপরা। ৭০ মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান ক্রিশ্চিয়ান লিনসন।
ম্যাচ শেষে টিএফওয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশম বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখার পর আমার মনে হয়েছে প্রথম গোল হওয়ার আগে মানু কোনকে ফাউল হয়েছিল। আমি এটা নিয়ে কান্নাকাটি করতে চাই না। তবে বলতেই হয় যে, মাঝে মাঝে রেফারিরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করে। এই ফাউল রেফারির চোখে পড়েনি। আমি তাদের দোষ দেব না। অথচ অনেক সময় ছোটখাটো ফাউলের জন্যও রেফারিরা বড় সিদ্ধান্ত নেন। আমার ধারণা হয়তো পরিবেশ তাকে কিছুটা প্রভাবিত করেছে।’
ফাউল না ধরলেও বিষয়টি নিয়ে রেফারিকে সামনাসামনি কিছু বলতে চান না দেশম, ‘প্রথম গোলটি বৈধ ছিল না। দ্বিতীয় গোল নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। এখানে রেফারির দোষ ছিল না। কিন্তু এটা সত্য যে তাদের প্রথম গোলটি ফাউল ছিল। এটা আমি বেশ কয়েকবার দেখেছি। সেটা রেফারি দেখেননি। এটা নিয়ে আমরা তাকে কিছু বলিনি। যদিও ম্যাচের সারসংক্ষেপ এখানেই শেষ নয়। কিন্তু আইসল্যান্ড কোন সম্ভাবনা ছাড়াই প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল।’
আইসল্যান্ডের বিপক্ষে কিলিয়ান এমবাপ্পে, উসমান দেম্বেলে, দিজিরে দুয়ে, ব্র্যাডলি বারকোলাদের মতো ফুটবলারদের পায়নি ফ্রান্স। তাই নিচের সারির দলটির বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তাই ড্রয়ের জন্য রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের পাশাপাশি নিজেদের পারফরম্যান্সকেও দায়ী করেছেন ফরাসি কোচ, ‘এটাও ঠিক যে ম্যাচে আমরা খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। আমি এই আইসল্যান্ডীয় দলকে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করতে পারি না। তারা এই ম্যাচে যা করেছে সেটার বাইরেও তাদের আরও ভালো মান রয়েছে। তারা দল হিসেবে দারুণ।’
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষেই আছে ফ্রান্স। ৪ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ইউক্রেন। ৪ পয়েন্ট পাওয়া আইসল্যান্ডের অবস্থান তিনে। ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানীতে আছে আজারবাইজান।