এবার কি পারবেন কিলিয়ান এমবাপ্পে? চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার লক্ষ্য নিয়ে গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমান তিনি। সে মৌসুমেই শিরোপা জিতল তাঁর সাবেক ক্লাব পিএসজি। তাতে অবশ্য হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই; কারণটা রিয়াল মাদ্রিদ বলেই। ১৫ বারের চ্যাম্পিয়নরা নতুন শিরোপার খোঁজে ঘরের মাঠে আজ মুখোমুখি হচ্ছে অলিম্পিক মার্শেইর বিপক্ষে।
চ্যালেঞ্জটা কোচ জাবি আলোনসোরই বেশি। জিনেদিন জিদান, কার্লো আনচেলত্তিরা যে ছাপ রেখে গেছেন, সেটা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ তাঁর সামনে। খেলোয়াড়ি জীবনে রিয়ালের হয়ে তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন তিনি। কোচিংয়ের অধ্যায় সবে শুরু বলা যায়। যদিও বায়ার লেভারকুসেনকে তুলেছেন ইউরোপা লিগের ফাইনালে। পাশাপাশি বুন্দেসলিগা জয়ের সাফল্য তাঁকে এনে দেয় রিয়ালের ডাগআউট সামলানোর সুযোগ।
দায়িত্বটা যে সহজ নয়, সেটা বেশ ভালোভাবে জানেন আলোনসো। ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করে নতুন ইতিহাস লিখতে চান তিনি, ‘রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার সময় যে রোমাঞ্চ থাকে, ঠিক সেই রোমাঞ্চ নিয়ে মাঠে নামছি। চ্যাম্পিয়নস লিগ এই দলের জন্য বিশেষ। ঐতিহাসিক সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে খেলা আরও প্রেরণাদায়ক। আশা করি, শুরুটা ভালোভাবে করব।’
গত মৌসুমে এমবাপ্পেকে নিয়েও কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ হয়ে যায় রিয়ালের যাত্রা। তাঁর প্রত্যাশা নিয়ে আলোনসো বলেন, ‘আমাদের তাকে প্রয়োজন। সে সত্যিই ফুটবলকে ভালোবাসে এবং ব্যাপারগুলো বোঝে। সে তাঁর দক্ষতা দিয়ে ম্যাচে পার্থক্য সৃষ্টি করতে পারে।’
চ্যাম্পিয়নস লিগে মার্শেইর বিপক্ষে চারবারের দেখায় জয়ের মুখ দেখেছে রিয়াল। তবে স্বদেশি ক্লাবটিকে হালকা করে দেখছেন না রিয়ালের ফরাসি মিডফিল্ডার অরেলিয়েঁ চুয়োমেনি, ‘আমি মার্শেইকে ভালোভাবে চিনি। তারা আমাদের ঝামেলায় ফেলবে। তাদের খুবই প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। আমাদের দেখাতে হবে যে আমরা শক্তিশালী দল।’
প্রথম দিনে রিয়াল-মার্শেই ছাড়াও মাঠে নামছে আরও ১৪টি দল। বড় ম্যাচের স্বাদ নিতে হলে তাকিয়ে থাকতে হবে জুভেন্তাস-ডর্টমুন্ড লড়াইয়ের দিকে।