ঢাকা: হামজা চৌধুরীর পর মাঠে ফিলিস্তিনির পতাকা ওড়ালেন পল পগবাও। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কাল ফুলহামের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর সতীর্থ আমাদ দিয়ালোকে নিয়ে পতাকা উড়িয়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পগবা।
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের সহিংস হামলার প্রতিবাদে শুরুটা করেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন লেস্টার ডিফেন্ডার ওয়েসলি ফোফানা। গত শনিবার ওয়েম্বলিতে এফএ কাপের ফাইনালে জয়ের পর মাঠে ফিলিস্তিনির পতাকা উড়িয়েছিলেন দুজন। হামজাদের পথ ধরে এবার এগিয়ে এলেন ম্যানইউর ফরাসি মিডফিল্ডার পগবা আর আইভরি কোস্টের উইঙ্গার আমাদ।
পগবার পতাকা উড়ানোর ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন ১০ হাজার দর্শক। গত ১৪ মাসে প্রথমবারের মতো এত দর্শক ওল্ড ট্রাফোর্ডে আসতে পারল। ম্যাচ শেষে গ্যালারিতে থেকে এক ভক্তের কাছ থেকে ফিলিস্তিনির পতাকা নেন পগবা। পতাকা নিয়ে ফের মাঠে গেলে ফরাসি তারকার সঙ্গে যোগ দেন আমাদ। দুজন পতাকা নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিনির চলমান সংঘাতে ফিলিস্তিনির মুক্তিকামী মানুষের পাশা থাকার বার্তা দেন । দুই তারকার পতাকা নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করা নিয়ে ইউনাইটেড কোচ ওলে গুনার সুলশার বলেছেন, ‘আলাদা আলাদা দেশের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি থেকে আমাদের খেলোয়াড়েরা উঠে আসে। তাদের ভিন্ন মতের প্রতি আমাদের সম্মান দেখানো উচিত। আমার খেলোয়াড়েরা যদি ফুটবলের বাইরে অন্য কিছু নিয়ে ভাবে সেটা অবশ্যই ইতিবাচক।’
অন্যের মতপ্রকাশ–চিন্তা ভাবনার বৈচিত্র্য নিয়ে যথেষ্ট সচেতন এই নরওয়েজীয় কোচ। মার্কাস রাশফোর্ডের উদাহরণ টেনে সুলশার বলেছেন, ‘আগেও আমরা এমনটা দেখেছি তারা ফুটবলের বাইরের বিষয় নিয়েও ভাবে । রাশফোর্ডের কথা বলা যেতে পারে যে এমনটা করে দেখিয়েছে। তাদের এই ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে আমরা সম্মান করি।’