চার বছরের বেশি সময় পর ম্যাচ ফিরেছে জাতীয় স্টেডিয়ামে। প্রত্যাবর্তনেই নানা অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটে উঠল। ম্যাচ শুরু হওয়ার পরও ফাঁকা ছিল গ্যালারির বেশ কিছু অংশ। কিন্তু বাইরে অপেক্ষারত ছিলেন অনেক সমর্থক। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে না পেরে গেট ভেঙেই গ্যালারিতে ঢুকে পড়েন তাঁরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
হামজাদের খেলা দেখতে দর্শকের এভাবে ঢুকে পড়াতেই শেষ হয়নি। ম্যাচের ৭২ মিনিটে গ্যালারি থেকে মাঠে ঢুকে পড়েন এক দর্শক। ছবি তুলতে যান ডাগআউটে থাকা হামজার সঙ্গে। তাঁকে পুলিশ আটকাতে না আটকাতেই ব্যারিকেড টপকে আরও একজন মাঠে প্রবেশের প্রস্তুতি নেন। দুজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
অনেক দর্শক টিকিট নিয়ে ঢুকতেও ঝামেলায় পড়েছেন, স্ক্যান করতে সময় লেগেছে বেশি। কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে—২০০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকায়।
নানা অব্যবস্থাপনার মধ্যে মাঠের খেলায় মুগ্ধ করেছেন হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশের জার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচেই গোল পেয়েছেন হামজা! ম্যাচের ৬ মিনিটেই জামাল ভূঁইয়ার কর্নারে নিখুঁত এক হেডে বল চলে যায় জালে। গ্যালারিতে তখন তুমুল উত্তেজনা, বিপুল গর্জন। জাতীয় স্টেডিয়ামে বারবার শোনা গেল, ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’, ‘হামজা–হামজা’। শেষ পর্যন্ত ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচটা বাংলাদেশ জিতেছে ২–০ গোলে।