চেক প্রজাতন্ত্রকে বিদায় করে ১৯৯২ ইউরোর স্মৃতি ফেরানোর আরও কাছে পৌঁছে গেল ডেনমার্ক। শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে দাপুটে ফুটবল খেলে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে ১৯৯২ ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।
ইউরোয় ডেনমার্কের অগ্রযাত্রা রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। এরিকসেন-দুর্ঘটনার পর বিদায়ের মুখ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে ড্যানিশরা। এখন শিরোপা স্বপ্নও তাদের দূরের কোনো বাতিঘর নয়।
বাকুর সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে সতর্কভাবে শুরু দুই দল। তবে চেকরা গুছিয়ে নেওয়ার আগে ম্যাচের ৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। কর্নার থেকে বল পেয়ে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন আনমার্ক টমাস ডেলেনি। এগিয়ে গিয়ে চেক রক্ষণের ওপর আক্রমণের ঝড় তোলে ডেনমার্ক। চেকদের লক্ষ্য ছিল প্রতি আক্রমণে সুযোগ তৈরির। ১৩ মিনিটে অবশ্য ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হাতছাড়া করে ডেনমার্ক। কাছাকাছি গিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন মিকেল ডামসগার্ড।
১৭ মিনিটে আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন ডেলেনি। ডেনমার্কের প্রেসিংয়ে এ সময় ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে চেকরা। স্রোতের বিপরীতে ২২ মিনিটে সুযোগ এসেছিল চেকদের সামনে। থমাস হোলসের একটা প্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন ড্যানিশ গোলরক্ষক কেসপার স্মাইকেল। ৩৫ মিনিটে আবার সুযোগ হাতছাড়া করেন হোলস। ৪২ মিনিটে ভুল করেননি ডেনমার্কের কেসপার ডলবার্গ৷ জোয়াকিম মায়েলের দুর্দান্ত এক ক্রস থেকে নিঁখুত ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডলবার্গ৷
বিরতির পর দুই বদলি নামিয়ে ম্যাচের গতি বদলানোর চেষ্টা করে চেকরা। আকস্মিক কাউন্টার প্রেসিংয়ে কিছুটা কোনঠাসা হয়ে পড়ে ড্যানিশরা। তেমনই এক আক্রমণে ভ্লাদিমির কউফালের ক্রসে চেকদের হয়ে টুর্নামেন্টে নিজের পঞ্চম গোলটি করেন শিক। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও ছুঁলেন এই চেক তারকা।
দ্বিতীয় গোলের জন্য মরিয়া চেক এ সময় ডেনমার্কের রক্ষণে বেশ চাপ তৈরি করে। প্রতি আক্রমণে অবশ্য দারুণ একটি সুযোগ এসেছিল ডেনমার্কের সামনেও। একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন ইউসুফ পলসেন। এরপর ফ্রি কিক থেকে নেওয়া চেকদের প্রচেষ্টা রুখে দেন স্মাইকেল।
৭৮ মিনিটে পলসেনের জোরালো শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন চেক গোলরক্ষক থমাস ভাকলিক। একটু পর মায়েলকেও আটকে দেন ভাকলিক৷ একেবারে শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরানোর শেষ সুযোগটি হাতছাড়া করলে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় চেক প্রজাতন্ত্রকে।