আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথমবারের মতো লাল কার্ড দেখেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তাতে করে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব সামনে রেখে পর্তুগালের শেষ ম্যাচটা খেলতে পারেননি তিনি। তাঁকে ছাড়া খেলতে অব্য অসুবিধা হয়নি পর্তুগালের। বিস্ফোরক এক জয়ে কেটেছে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট।
২০২৬ বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট কাটতে পর্তুগালের সমীকরণ ছিল বেশ সহজ। আর্মেনিয়াকে হারালেই সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট কাটবে পর্তুগিজরা। পোর্তোর দো দ্রাগাও স্টেডিয়ামে আজ হলো এমনটাই। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আর্মেনিয়াকে ৮-১ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল।
ম্যাচের ৭ মিনিটে রেনাতো ভিগার গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। সেট পিস থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ভিগা। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) দেখে পর্তুগিজ ডিফেন্ডারের গোলের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। সমতায় ফিরতে বেশি সময় লাগেনি আর্মেনিয়ার।
১৮ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন আর্মেনিয়ার মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো স্পার্তসিয়ান। সমতায় ফেরার পর শুধু গোলই হজম করে গেছে আর্মেনিয়া। প্রথমার্ধ পর্তুগাল শেষ করেছে ৫-১ গোলে এগিয়ে থেকে। যেখানে ৪৫ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। ২৮ মিনিটে গোল করেন গনসালো রামোস। ৩০ ও ৪১ মিনিটে গোল করেন জোয়াও নেভেস। যার মধ্যে তাঁর (নেভেস) দ্বিতীয় গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন ফার্নান্দেজ।
দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের বন্যা অব্যাহত রেখেছে পর্তুগাল। ৫১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ফার্নান্দেজ। হ্যাটট্রিকটা তিনি পেয়েছেন ঠিক ২১ মিনিট পরেই। ৭১ মিনিটে আর্মেনিয়ান ডিফেন্ডার সার্জেই মুরাদিয়ান ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন। ভিএআর দেখে পর্তুগালকে পেনাল্টি দেওয়া হয়। স্পটকিক থেকে হ্যাটট্রিক আদায় করে নেন ফার্নান্দেজ। ৮১ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন তাঁর সতীর্থ নেভেস।
ফার্নান্দেজ, নেভেসের জোড়া হ্যাটট্রিকে ৮-১ গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। তবে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে একগাদা গোল দিয়েও যে পেট ভরেনি পর্তুগিজদের। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ২ মিনিটে আর্মেনিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ফ্রান্সিসকো কনসেইকাও। শেষ পর্যন্ত ৯-১ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগিজরা। তাতে করে নবমবারের মতো বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছে পর্তুগাল। যার মধ্যে ২০০২ থেকে ২০২৬ পর্যন্ত টানা সাত বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছে ইউরোপ মহাদেশের এই দলটি। যার মধ্যে সবশেষ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালেই থেমে যায় পর্তুগিজদের পথচলা।