হাইলাইন ডিফেন্স নিয়ে নিজের অবস্থানে অনড় কোচ পিটার বাটলার। এমন কৌশলে বড় ভয়টা থাকে প্রতিপক্ষের পাল্টা আক্রমণ নিয়ে। সেটাই প্রথমার্ধে পিছিয়ে রাখল বাংলাদেশকে। বল পজিশনে স্বাগতিকেরা এগিয়ে থাকলেও ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মালয়েশিয়া।
জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ সপ্তম মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের ক্রসে মনিকা চাকমা মাথা ছোঁয়াতে পারলেই এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। পরের মিনিটে ঋতুপর্না চাকমার কর্নারে শামসুন্নাহার জুনিয়র হেড করলেও তা দূরের পোস্টের বাইরে চলে যায়।
বাংলাদেশের একের পর এক আক্রমণ সামলে মালয়েশিয়া অপেক্ষায় ছিল পাল্টা আক্রমণের। সেই সুযোগটা সফরকারীদের এল ২৯ মিনিটে। বাংলাদেশের হাইলাইন ডিফেন্সের সুবিধা নিয়ে মালয়েশিয়াকে এগিয়ে দেন নুর আইনসিয়া বিন্তি মুরাদ। মাঝমাঠ থেকে দারুণ এক চিপে তাঁর উদ্দেশে বল বাড়ান নুহাদফিনা মোফ ফিরদাউস। আইনসিয়ার গতি সঙ্গে পেরে ওঠেননি বাংলাদেশের সেন্টারব্যাক কোহাতি কিসকু। তাই তাঁকে ঠেকাতে পোস্ট ছেড়ে সামনে চলে আসেন গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। সেটাই বড় ক্ষতি করে দেয় স্বাগতিকদের। রুপনাকে কাটাতে কোনো অসুবিধাই হয়নি আইনসিয়ার। বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বক্সের বাইরে থেকে ফাঁকা জাল কাঁপান মালয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধের বাকিটা সময়ও পাল্টা আক্রমণে নির্ভর করে খেলে মালয়েশিয়া। আর বাংলাদেশ সেভাবে আক্রমণের সুযোগ পায়নি বললে চলে।