‘ম্যাচটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’—প্রায় ১৫ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচ খালিদ জামিল এমন কথা শোনালেন বারবার। দলের ভেতরের কোনো খবর জানাতে খুব বেশি ইচ্ছুক ছিলেন না। যেন মাঠের জন্য জমিয়ে রেখেছেন সবকিছু।
পরশু বাফুফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, গতকাল সকালে সোয়া ৯টায় অনুশীলন করবে ভারত। নিরাপত্তার কোনো কারণ নয়, খালিদ জানালেন এটাই তাঁদের সংস্কৃতি। ঢাকায় এখনো পুরোপুরি শীত পড়েনি। সকালের সতেজ আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। রাতের আলোয় আজ কতটুকু আলোকিত করতে পারবে নিজেদের, সেটাই দেখার পালা।
শিলংয়ে এ বছরের মার্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হামজা চৌধুরীর। সেই ম্যাচ হামজা কীভাবে রাঙিয়েছিলেন, সেটা কারও অজানা নয়। গোল যদিও পাননি, কিন্তু ফুটবলশৈলীতে মুগ্ধ করেছেন ভক্তদের। আট মাস পর ফের যখন বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি হচ্ছে, তখন ঘুরেফিরে আসছে হামজার কথা। সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচ বলেন, ‘আগে যেমনটা বলেছি, বাংলাদেশের এক-দুজন নয়, পুরো দলই ভালো। তাদের সবাই ভালো খেলোয়াড়। তাই আমরা ম্যাচটিকে হালকাভাবে নেব না। ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে, ভালো ফল আনতে হবে।’
চাপে থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে খালিদ অবশ্য হাল ছেড়ে দিচ্ছেন না। পরিশ্রমের পূর্ণতা পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তিনি, ‘সবাই জানে এটা চাপের ম্যাচ। তবু কঠোর পরিশ্রম করতে হবে ইতিবাচক ফলের জন্য। এটি কোনো প্রীতি ম্যাচ নয়। বাছাইপর্বের ম্যাচ। খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশের প্রশংসায় খালিদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ খুব ভালো দল। তাদের ভালো খেলোয়াড় আছে। আমি দেখেছি, তাদের গুণগত মান আছে। ঘরে-বাইরে তাদের খেলায় অনেক উন্নতি হয়েছে।’
সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে কখনো কার্পণ্য বোধ করেন না খালিদ। ঢাকায় এসেছেন লিস্টন কোলাসো, সাহাল আবদুল সামাদ, উদন্ত সিংয়ের মতো তারকাদের ছাড়াই। দলে আছে প্রবাসীর ছোঁয়াও। অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব ছেড়ে ভারতীয় পাসপোর্ট হাতে নিয়েছেন রায়ান উইলিয়ামস। সেই পাসপোর্টে প্রথম সিলটা পড়েছে বাংলাদেশের। তবে এই উইঙ্গার খেলতে পারবেন কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।
খালিদ বলেন, ‘আমরা দুটো সম্ভাবনার জন্যই প্রস্তুত। যদি সে থাকে, খুব ভালো। না থাকলেও একইভাবে কাজ করব। আমরা এখনো অপেক্ষা করছি (ফিফা থেকে অনুমতি পাওয়ার)।’