আগের দুটি বিশ্বকাপে দর্শকের ভূমিকায় ছিল ইতালি। আরও একবার সূতোয় ঝুলে আছে তাদের ভাগ্য। ইউেরাপিয়ান অঞ্চল থেকে সরাসির ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে আজ্জুরিরা। তাই দুই আসর পর বিশ্বকাপে ফেরার জন্য প্লে অফ খেলতে হবে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে।
২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। তিন স্বাগতিক দেশসহ মোট ৪৬টি দেশ এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে। ইউরোপিয়ান অঞ্চল এবং আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফের বাধা অতিক্রম করে বাকি ছয়টি দল বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নেবে।
প্লে অফে খেলবে মোট ২২ দল। এর মধ্যে ১৬টি দল ইউরোপের। আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফ খেলবে বাকি ছয় দল। ইউরোপিয়ান অঞ্চলের সেমিফাইনালে ‘এ’ গ্রুপে ইতালির প্রতিপক্ষ নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড। গ্রুপের আরেক সেমিফাইনালে বসনিয়া হার্জেগোভিনার বিপক্ষে মাঠে নামবে ওয়েলস। শেষ চারের দুই জয়ী দল ফাইনাল খেলবে। ফাইনালে জয়ী দল বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পাবে। একই নিয়মে বাকি তিন গ্রুপের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
‘বি’ গ্রুপের প্রথম সেমিফাইনালে সুইডেন খেলবে ইউক্রেনের বিপক্ষে। আরেক সেমিফাইনালে আলবেনিয়ার প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড। ‘সি’ গ্রুপে শেষ চারের লড়াই করবে রোমানিয়া-তুরস্ক এবং কসোভো-স্লোভানিয়া। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে ফাইনালে উঠার প্রথম লড়াই হবে নর্থ মেসিডোনিয়া ও ডেনমার্কের মধ্যে। আরেক সেমিফাইনালে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে চেক রিপাবলিক।
ইউরোপিয়ান প্লে অফে ১৬ দলের লড়াই শেষে বিশ্বকাপে উঠবে চারটি দল। ইউরোপিয়ান অঞ্চলের মূল বাছাইপর্ব থেকে ১২টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে পা রেখেছে। রানার্সআপ ১২ দল প্লে অফ খেলবে। সেই সঙ্গে উয়েফা নেশন্স লিগ থেকে চারটি দল তাদের সঙ্গে বিশ্বকাপে উঠার লড়াই করবে।
আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফে ছয় দলের লড়াই শেষ দুটি দল বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে। সরাসরি প্লে অফের ফাইনাল খেলবে কঙ্গো ও ইরাক। নিউ ক্যালেডোনিয়া ও জ্যামাইকার মধ্যকার শেষ চারের প্রথম ম্যাচের বিজয়ী দল ফাইনালে কঙ্গোর বিপক্ষে মাঠে নামবে। অপর সেমিফাইনালে সুরিনামের প্রতিপক্ষ বলিভিয়া। এই ম্যাচের জয়ী দল ফাইনালে খেলবে ইরাকের বিপক্ষে।