সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার বাটলার এলেন রাগান্বিত ভাব নিয়ে। যেন আগে থেকেই জানতেন তাঁর হাইলাইন ডিফেন্স কৌশল নিয়ে সমালোচনা হবে। বাটলার সেসবে কখনো পাত্তা দেননি, আজও দিলেন না। হারের দায় নিজের কাঁধে নিলেন বটে, এর চেয়ে বড় করে তুললেন দলের ভেতরের-বাইরের অসহযোগিতা নিয়ে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ জাতীয় স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। হাইলাইন ডিফেন্সে চিড় ধরিয়ে মালয়েশিয়াকে গোল এনে দেন নুর আইনসিয়া। বাটলার গোল হজমে কারও দায় দেখছেন না। উল্টো তোপ দাগলেন সাংবাদিকদের।
বাটলার বলেন, ‘প্রথমত দল নির্বাচনে, ফলের, ভালো-মন্দ সবকিছুর দায় আমি নিচ্ছি। আমি এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই, এখানে অজুহাত দেখাতে আসিনি। আমি মনে করি, আমার দল যেমনটা খেলবে, আমরা আসলেই তেমন ভালো খেলেছি। কিন্তু সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। ওই গোলটির জন্যও আমি কাউকে দায় দিতে চাই না।’
কোচ আরও বলেন, ‘আমি জানি, কী কারণে এক বা দুজন খেলোয়াড় আজ সেরা পর্যায়ে ছিল না। আমি নিশ্চিত, এখানে কিছু গণমাধ্যমকর্মী আছেন…আমি শুধু এতটুকুই বলব, যখন কেউ পর্দার আড়ালে কাজ করে, যখন আপনার ক্যাম্পের ভেতরেও কেউ কলকাঠি নাড়ে, তখন মামনি চাকমা, সাগরিকার মতো তরুণদের বের করে আসা ভীষণ কঠিন হয়ে পড়ে। আমি বাংলাদেশের ফুটবলকে সহযোগিতা করতে চাই, কিন্তু কিছু মানুষের মতো করে নয়।’
কৌশল পছন্দ না হলে বাটলার পদত্যাগ করতেও রাজি। তিনি বলেন, ‘এখন যদি আমাকে সরে যেতে হয়, আমি তা করতে পেরে বেশ খুশি হব। অন্য কাউকে নিয়ে আসুন, কিন্তু একই সমস্যা বাস্তবায়িত হবে। আর খেলোয়াড়দের আমি শুধু এটাই বলব, শক্তিশালী চরিত্র হতে হবে, ঝড়ের সাথে লড়াই করতে হবে, নিজেদের ওপর বিশ্বাস হারাবে না, এবং শুধু সঠিক কাজ করে যেতে থাকবে, আমি এখানে থাকি বা না থাকি।’