এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। মূলপর্বে যাওয়ার আশা আগেই শেষ হয়েছে, তবু লাল-সবুজদের জন্য ম্যাচটি অস্তিত্ব চেনানোর পাশাপাশি নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা যাচাইয়ের বড় সুযোগ। হামজা-শমিতের জুটির মিশেলে যে জয়ের অপেক্ষা করছিল বাংলাদেশ, তা আজ ঘুচানোর পণ নিয়ে মাঠে নামছে। জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়।
পালাবদলের পথে থাকা ভারতও তরুণদের নিয়ে নতুনভাবে শুরু করতে চাইছে। দুই দলের এই লড়াইয়ে খেলোয়াড়দের মুখোমুখি লড়াইও ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে। তাই নজর থাকবে কয়েকটি বিশেষ ডুয়েলে—
রহিম–তপু বর্মণ
সুনীল ছেত্রীর বিদায়ের পর ভারতের আক্রমণভাগের তুরুপের তাস এখন রহিম আলী। জাতীয় দলের জার্সিতে খুব একটা আলো ছড়াতে পারেননি অবশ্য। তবে সর্বশেষ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অবশ্য গোলের দেখা। ছেত্রী না থাকায় তাঁর শুরুর একাদশে সম্ভাবনাই জোরাল। সেক্ষেত্রে তাঁকে থামানোর বড় দায়িত্ব থাকবে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ সেন্টার-ব্যাক তপু বর্মণের ওপর। গত অক্টোবরে হংকং ম্যাচের আগে চোটে পড়েন তিনি। যদিও এখনো সেরা রূপে ফিরতে পারেননি। তবু বাংলাদেশের রক্ষণভাগে তিনিই বড় ভরসা। রহিমকে বোতলবন্ধী করতে পারলে ভারতের গোলের সুযোগও কমে আসবে।
রাকিব–সন্দেশ ঝিঙ্গন
বাংলাদেশের সবকিছুই যেন এখন হামজার দখলে। গোল করা নিয়ে তবু কোচ হাভিয়ের কাবরেরার সবচেয়ে বড় আস্থার জায়গা রাকিব হোসেন। স্বভাবজাত পজিশন রাইট উইং হলেও জাতীয় দলে সাম্প্রতিক সময়ে খুব কমই এখানে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এমনকি নেপালের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও তাঁকে সেন্টারে বাঁয়ে খেলান। স্ট্রাইকার হিসেবে খেললে রাকিবের বড় বাধা হয়ে থাকবেন সন্দেশ ঝিঙ্গন। দীর্ঘদেহী এই ডিফেন্ডার কিছুদিন আগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্লাব আল নাসরের বিপক্ষে খেলেছেন এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ। তাই ঝিঙ্গনকে বোকা বানানোর কাজটা সহজ হবে না রাকিবের জন্য।
হামজা–মহেশ
রক্ষণ, মাঝমাঠ কিংবা আক্রমণ–হামজার বিচরণ সর্বত্র। তবে মাঠে নিচের দিকে বেশি খেয়াল রাখতে হয় তাঁকে। ভারতের আক্রমণ রুখে দেওয়াটাও তাঁর গুরুদায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে তার আগ্রাসী উপস্থিতি প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে রাখছে। সেক্ষেত্রে তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন মহেশ সিং। খালিদ জামিল কোচ হওয়ার পর তাঁকে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলিয়েছেন গত অক্টোবরে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। প্লে মেকিং করাই তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা। তবে হামজার চাপ সামলে কতটুকুই বা সাবলীল খেলতে পারবেন সেটাই বড় প্রশ্ন।