টেস্টে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রঙ্গনা হেরাথ। তবে হেরাথের ক্যারিয়ারের শেষটা যেমন রঙিন হয়েছে, শুরুটা তেমন ছিল না। অভিষেকের পর লম্বা সময় ছিলেন দলের বাইরে। অন্য স্পিনারদের দাপটে দলে থিতু হতেও সময় লেগেছে অনেক।
এরপরও হাল ছাড়েননি হেরাথ। নিজের প্রতিভার ওপর বিশ্বাস ও পরিশ্রমই তাঁকে নিয়ে গেছে সাফল্যের চূড়ায়। আজ এক সাক্ষাৎকারে আজকের পত্রিকাকে নিজের লড়াইয়ের গল্প শুনিয়েছেন বর্তমানে বাংলাদেশ দলের স্পিনার পরামর্শকের দায়িত্বে থাকা হেরাথ। সে সঙ্গে তরুণদের বার্তা দিয়েছেন কঠিন সময়ে কী করতে হবে সম্পর্কে।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে হেরাথ শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলে নিয়মিত ছিলেন না। তবু নিজেকে নিয়ে গেছের অন্য উচ্চতায়। ৯৩ টেস্টে ৪৩৩ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি স্পিনাদের মধ্যে সবার ওপরে তাঁর নাম। কঠিন সময়ে বিশেষ করে যখন জাতীয় দলে জায়গাটা পোক্ত ছিল না, তখন কীভাবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করতেন? এ প্রশ্নে হেরাথের উত্তর, ‘‘আমি অনেকবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছি। কতবার আমার মনেও নাই! সব সময় নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছি। এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট বা ‘এ’ দলের ক্রিকেট হোক না কেন, শতভাগ দিতে হবে। আপনার এমন নিবেদন ও মাইন্ডসেট থাকলে সঠিক পথে থাকবেন। আমি কখনো লক্ষ্যচ্যুত হয়নি। তখন মুত্তিয়া মুরালিধরন, কুমার ধর্মসেনা, উপুল চন্দনা, সনাথ জয়সুরিয়া ছিল। জানতাম এখানে অনেক চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমি আমার সুযোগের জন্য অপেক্ষা করেছি। সুযোগ পেলে শতভাগ দিতে চেয়েছি।’
কিংবদন্তি হেরাথ এখন বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমান সময়ে টেস্টে ক্রিকেটে আর কোনো বাঁহাতি স্পিনারের ৪০০ উইকেট পাওয়া সম্ভব কি না, এ প্রশ্নে হেরাথ বলেছেন, ‘কয়েকজন ভালো স্পিনার আছে। সাকিব (আল হাসান) আছে। রবীন্দ্র জাদেজা ও কেশব মহারাজ আছে। বলতে পারেন না যে, তারা অত দূর যেতে পারবে না। রেকর্ড গড়া হয় ভাঙার জন্য। এখন টেস্ট, ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি মিলিয়ে তারা অনেক ক্রিকেট খেলছে। শারীরিক বিষয়টাও এখানে জড়িয়ে। একই ফিটনেস নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটা তাই সহজ নয়। কিন্তু বাংলাদেশের কথা বললে, বলব আরও বেশি টেস্ট খেলা জরুরি।’
হেরাথ যাঁদের নাম বললেন, ৫৮ টেস্টে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ২১৫, ৫৬ টেস্টে রবীন্দ্র জাদেজার উইকেট ২২৭। আর কেশব ৩৬ টেস্টে পেয়েছেন ১২৯ উইকেট। তিন বাঁহাতি স্পিনারই বয়সে ৩০ পেরিয়েছেন। তাঁদের ৪০০ উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে না দেওয়া গেলেও সহজও বলা যাচ্ছে না কিছুতেই!