ঢাকা: ১৭.৫ ওভারে মুক্তার আলীকে ফেরালেন নাইম ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে। পরের বলেই সোহাগ গাজীকে ফেরালেন জাহিদুজ্জামানকে ক্যাচে পরিণত করে। ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েই একটু অপেক্ষা করতে হলো আলাউদ্দিন বাবুকে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের স্কোর তখন ১৯ ওভারে ৯ উইকেটে ১১১।
১৯তম ওভারে সতীর্থ বোলার মানিক খান যদি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের শেষ উইকেটটি নিতে পারতেন, বাবুর হ্যাটট্রিকটাই আর হতো না! শেষ পর্যন্ত ব্রাদার্সের এই পেসারকে আফসোসে পুড়তে হয়নি। শেষ ওভারের প্রথম বলেই নাবিল সামাদকে মিজানুরের রহমানের ক্যাচ বানিয়েই হাঁটু গেড়ে দুই হাত ওপরে তুলে বসে পড়লেন উইকেটে—টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিকের আনন্দ তো বাবুর এমনই হবে! স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশি বোলারদের ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক। ৩.১ ওভারে ২১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই তাঁর সেরা বোলিং।
মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাটিং করা রূপগঞ্জ আলাউদ্দিন বাবুর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৯.১ ওভারে অলআউট হয়েছে ১১১ রান তুলে। ১১২ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ব্রাদার্সের ব্যাটসম্যানদের তেমন কোনো পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। দলটির অধিনায়ক মিজানের ফিফটিতে ১৫.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ব্রাদার্স। মিজানুর ৫২ বলে করে ৭৪ রান। রূপগঞ্জের মোহাম্মদ শহীদ ও সানজামুল ইসলাম নেন ১টি করে উইকেট।
স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি বোলারদের হ্যাটট্রিক