ওয়ানডে সংস্করণে বেশ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ। গত এক দশকে তাদের ছন্দ সেটি ভালোভাবেই জানিয়ে দেয়। টেস্টে এখন পর্যন্ত সেভাবে ধারাবাহিক না হলেও গত এক বছর ধরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণেও উজ্জ্বল পারফরম্যান্স বাংলাদেশের।
২০২৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি সিরিজে টান টান উত্তেজনায় প্রথম ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতায় ফিরেছে স্বাগতিকেরা। আগামী পরশু সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কানদের হারাতে পারলে সিরিজে অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত থাকবে নাজমুল হোসেন শান্তদের।
তাওহীদ হৃদয়-জাকের আলী অনিকদের খেলা যেন ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও আশ্বস্ত করছে—সেটি মনে করছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আজ সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ওডিআইতে ভালো খেলতাম, এখন টি-টোয়েন্টিতেও আমরা ভালো খেলতে পারব। তামিম নেই, সাকিব নেই, মুশফিক নেই—এরপরেও ওরা যে সাহস নিয়ে খেলছে এটাই বড় কথা। ওদের খেলার ধরন দেখে মনে হয়েছে, এখন টি-টোয়েন্টি খেলতে আমরাও পারি।’
কদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি বাড়বে কি না এই ব্যাপারে। তবে পাপন ইঙ্গিত দিয়ে এখনই ফ্র্যাঞ্চাইজি সংখ্যা বাড়ানোর অবস্থায় নেই তাঁরা। বিসিবি সভাপতি বললেন, ‘আগামী বিপিএলে আরও ফ্র্যাঞ্চাইজি যোগ হবে কি না বলা মুশকিল। আমাদের আসলে সক্ষমতাও দেখতে হবে। যদি ফ্র্যাঞ্চাইজি যোগ হয়, খরচ অনেক বেড়ে যাবে। আমরা এই সময় না করে টাইম স্লটটা যদি এদিক-সেদিক করতে পারতাম, তাহলে আমরা অনেক ভালো বিদেশি খেলোয়াড় পেতাম। কিন্তু আমাদের উপায় নাই।’
মিরপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম ছাড়া কোথাও এখন আর আন্তর্জাতিক সিরিজ হচ্ছে না। পর্যাপ্ত ভেন্যুর অভাব নাকি অন্য কোনো সমস্যা? বাংলাদেশে পর্যাপ্ত স্টেডিয়াম আছে উল্লেখ করে পাপন বলেন, ‘বিভিন্ন আনুষঙ্গিক জিনিস, যেমন হোটেল দরকার সব জায়গায়, সে সুযোগগুলো নেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আমরা এটাকে আরও বড় করব, সারা বাংলাদেশে নিয়ে যাব।’